ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ১২০ ফুট উঁচু টাওয়ারে উঠে বসে থাকলেন স্বামী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:৩৮ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে সোজা ১২০ ফুট উঁচু মোবাইল টাওয়ারের মাথায় উঠে বসে থাকলেন স্বামী। মদ্যপ অবস্থায় সেখানেই বসে থাকলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের পাত্রগাতি গ্রামে।

জানা গেছে, গ্রামবাসীদের হাজার অনুরোধও কাজে দেয়নি। রাগে মোবাইল টাওয়ারের মাথায় বসে ছিলেন ২৮ বছর বয়সী ওই তরুণ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। কিন্তু তাও নামিয়ে আনা যায়নি তাকে। শেষ পর্যন্ত খবর দিতে হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করলেন সাবেক ডাচ প্রধানমন্ত্রী

স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, পেশায় ক্ষেতমজুর সীমন্ত মাঝি মাঝেমধ্যেই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। স্ত্রী মিঠু প্রতিবাদ করলেই তাদের মধ্যে শুরু হয় ঝগড়া। তবে শনিবার সীমন্তের সঙ্গে মিঠুর ঝগড়ার কারণ ছিল অন্য।

মিঠুর দাবি, ঝগড়ার পরেই সীমন্ত ছুটে গিয়ে গ্রামের এক প্রান্তে থাকা ১২০ ফুট উঁচু একটি মোবাইল টাওয়ারের উপর উঠতে শুরু করেন। গ্রামবাসী তাকে বারবার নেমে আসতে বললেও তিনি ক্রমশ টাওয়ারের চূড়ায় উঠে যান। শেষ পর্যন্ত টাওয়ারের প্রায় ১২০ ফুট উচ্চতায় থাকা ল্যান্ডিংয়ে গিয়ে থামেন সীমন্ত।

তার এমন কাণ্ড দেখে বিপদের আশঙ্কায় দমকলে খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইন্দাস থানার পুলিশও। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, দমকল ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমন্তকে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার আশপাশের বেশ কিছু গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের ভিড় জড়ো হয় টাওয়ারের নিচে। ভিড় সামাল দিতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকেও।

সীমন্তের স্ত্রী মিঠু বলেন, আমার স্বামী প্রায় দিনই মদ খেয়ে বাড়িতে বসে থাকেন। বারবার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু কোনও ভাবেই মদের আসক্তি কমানো যায়নি। আজ এমন কাণ্ড করে বসবে ভাবতে পারিনি। স্বামী টাওয়ারে উঠে পড়তেই গ্রামের সিভিককর্মীকে খবর দিয়েছিলাম। ওই সিভিককর্মীই ঘটনার কথা থানায় জানান।

আরও পড়ুন: ভালোবাসা দিবসে বাগদান সারলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী

এরপর পুলিশ তাকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করে। দমকলও তাকে নামাতে পারেনি। মোবাইল টাওয়ার সংস্থার কর্মকর্তা পীযূষ কুমার মণ্ডল বলেন, টাওয়ারের নিচের অংশ ব্যারিকেড করে ঘেরা রয়েছে। ব্যারিকেডের দরজাতেও তালা লাগানো ছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তি ব্যারিকেড টপকে ভিতরে ঢুকে এমন কাণ্ড করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা 

টিটিএন