ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধবিরতি

হামাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৪৮ এএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যে প্রস্তাব দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, আর কয়েক মাসের মধ্যেই গাজায় সম্পূর্ণ বিজয় সম্ভব হবে। খবর বিবিসির।

আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ১৩৫ দিনের চুক্তির প্রস্তাব হামাসের

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে তিন ধাপে ১৩৫ দিনের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বিনিময়ে অবরুদ্ধ উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে সব সৈন্য ফিরিয়ে নিতে হবে এবং বন্দি ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের মুক্তি দিতে হবে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে গত সপ্তাহে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সেটির জবাবেই এসব শর্ত দিয়েছে হামাস। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর গত পাঁচ মাসের মধ্যে সংঘাত বন্ধে এটিই সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।

তবে হামাসের প্রস্তাবকে ‌‌‘উদ্ভট’ বলে উল্লেখ করেছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, একটি সম্পূর্ণ এবং চূড়ান্ত বিজয় ছাড়া অন্য কোনো সমাধান নেই। হামাস যদি গাজায় টিকে থাকে তবে পরবর্তীতে আবারও তারা হুমকি হয়ে উঠবে।

এদিকে হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, নেতানিয়াহুর মন্তব্য রাজনৈতিক বাহাদুরির একটি রূপ। এ থেকেই বোঝা যায় যে, তিনি ওই অঞ্চলে সংঘাত চালিয়ে যেতে চান।

হামাসের দেওয়া প্রস্তাবের একটি নথি হাতে পেয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। নথিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ৪৫ দিনে হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলি নারী, ১৯ বছরের কম বয়সী পুরুষ এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি নারী ও শিশুদের মুক্তি দিতে হবে। এই ধাপে, গাজার জনবহুল এলাকাগুলো থেকে সৈন্যদের ফিরিয়ে নেবে ইসরায়েল।

সমঝোতাকারীদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, হামাসের প্রস্তাবে শুরুতেই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির গ্যারান্টির কথা বলা হয়নি। তবে সবশেষ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আগে অবশ্যই যুদ্ধ বন্ধে সম্মত হতে হবে।

আরও পড়ুন: গাজায় থামছে না ইসরায়েলি তাণ্ডব, নিহতের সংখ্যা ২৭৫০০ ছাড়ালো

দ্বিতীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি বহাল থাকবে এবং জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চুক্তিটি ভেঙে পড়বে না, সে বিষয়ে কাতার, মিশরসহ অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোর কাছে গ্যারান্টি চায় হামাস।

টিটিএন