ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
ইরানি ড্রোন এবং হুথিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধজাহাজ তিনটি ইরানি ড্রোন এবং ইরানসমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় বাড়ছে লাশের সারি, নিহত ২৭ হাজার ছুঁইছুঁই
হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে এডেন উপসাগরের দিকে একটি জাহাজবিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইউএসএস কার্নি ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে ভূপাতিত করেছে বলে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনে লোহিত সাগারে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। সেখানে এই হামলা অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানিয়েছে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি। তবে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় এরই মধ্যে লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে, যার প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে।
হুথি বিদ্রোহীদের সামরিক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আগ্রাসনে অংশ নেওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ তাদের মূল লক্ষ্যবস্তু।
ছবি: এএফপি
ইরানসমর্থিত এই গোষ্ঠীটির ওপর এখন পর্যন্ত অন্তত নয়বার হামলা চালিয়েছেন বাইডেন। এতে বৈশ্বিক শিপিং ইন্ডাস্ট্রিতে একটি সংকট তৈরি হয়েছে। কাজে আসছে না মার্কিন নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্সও। হুথি বিদ্রোহীদের দাবি, ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এই হামলা চালানো হবে।
এদিকে গাজায় লাশের সারি বাড়ছেই। প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। সেখানে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের আল-আমাল হাসপাতালে তীব্র হামলা চালিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় চার মাস ধরে সেখানে সংঘাত চলছেই।
আরও পড়ুন: মার্কিন যে কোনো হামলার চূড়ান্ত জবাব দিতে প্রস্তুত ইরান: আইআরজিসি
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৬ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬৫ হাজার ৯৪৯ জন। গাজায় হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
টিটিএন