ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার আক্রমণ থামাতে হলে জমি ছাড়তে হবে ইউক্রেনকে: স্লোভাকিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে আবারও ভেটো দিয়েছেন স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো। শনিবার (২০ জানুয়ারি) স্লোভাক পাবলিক ব্রডকাস্টার আরটিভিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ দেওয়া বিষয়ে বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে, আরটিভিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফিকো বলেন, যুদ্ধ শেষ করতে হলে ইউক্রেনকে কিছু আপোস করতেই হবে। জেলেনস্কি কি আশা করেন যে রাশিয়া ক্রিমিয়া, দনবাস ও লুহানস্ক ছেড়ে যাবে? কখনোই না। সুতরাং যুদ্ধ শেষ করতে হলে রাশিয়ার কাছে কিছু অঞ্চল ইউক্রেনকে ছেড়ে দিতেই হবে।

ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বুধবার (২৪ জানুয়ারি) স্লোভাকিয়ার সীমান্তে পশ্চিম ইউক্রেনের উজহোরোড নগরীতে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহালের সঙ্গে দেখা করবেন রবার্ট ফিকো। সে সময় তিনি ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীকে বলবেন, আমি ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্য হওয়ার বিপক্ষে ও এতে ভেটো দেবো। এটি কেবলমাত্র তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভিত্তি হবে, অন্য কিছু নয়।

স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ইউক্রেন কোনো স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণের অধীনে থাকা দেশ। তাছাড়া এটি বিশ্বের অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। আমি নিশ্চিত করবো যে ইউক্রেন স্লোভাকিয়ার কাছ থেকে কোনো অস্ত্র পাবে না।

এদিকে, গত বছরের ডিসেম্বরে ইউক্রেনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ৫ হাজার কোটি ইউরোর প্যাকেজ আটকে দেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। এ বিষয়েও সমর্থন প্রকাশ করেছেন স্লোভাক প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ, কিয়েভের সম্ভাব্য ন্যাটো সদস্যপদ আটকানো ও রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেন স্মের পার্টির নেতা রর্বাট ফিকো। স্লোভাকিয়া তিনি রুশপন্থি নেতা হিসেবে পরিচিত। নির্বাচনে জয়লাভের পরপরই তিনি রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কথা জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে চায় ইউক্রেন। আর এই বিষয়টিই মূলত ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনার অন্যতম প্রধান কারণ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেরও প্রধান কারণ এটি।

সূত্র: পলিটিকো

এসএএইচ