ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

অবৈধ পথে ইউরোপযাত্রা

ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ অভিবাসনপ্রত্যাশীবাহী দুই নৌকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৫৪ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪

তিউনিশিয়া উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইতালি যেতে চাওয়া অন্তত ৪০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ছয়দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন তারা। গত সপ্তাহে অভিবাসনপ্রতাশীদের আরেকটি নৌকা ছেড়ে এসেছিল লিবিয়া থেকে। সেটিরও কোনো সন্ধান মিলছে না। একটি বেসরকারি সংস্থা জানিয়েছে, নৌকাটিতে ৩৫ থেকে ৪৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন।

একই দিন ইতালীয় কোস্টগার্ড জানিয়েছে, গত সপ্তাহে লিবিয়া থেকে ছেড়ে আসা অভিবাসনপ্রতাশীদের একটি নৌকারও সন্ধান মিলছে না। একটি বেসরকারি সংস্থা জানিয়েছে, নৌকাটিতে ৩৫ থেকে ৪৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন।

গত সোমবার (১৬ জানুয়ারি) তিউনিশিয়ার উপকূলরক্ষীরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর স্ফ্যাক্স থেকে গত ১১ জানুয়ারি রাতে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা একটি নৌকা নিয়ে ইতালির উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছিলেন।

কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও তাদের কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না স্বজনেরা। এরপর বিষয়টি উপকূলরক্ষীদের জানানো হলে নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান শুরু হয়।

লিবিয়া ছেড়ে আসা নৌকারও হদিস নেই
সোমবার ইতালির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, গত সপ্তাহে লিবিয়া থেকে ছেড়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীবাহী একটি নৌকার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, গত শুক্রবার মাল্টা উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে আসা কাঠের নৌকাটিকে সবশেষ শনাক্ত করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নে সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থা ফ্রন্টেক্স’র একটি প্লেন।

৩৫ থেকে ৪৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীবাহী নৌকাটির সন্ধানে অভিযান চলছে। কোস্টগার্ডের জাহাজ ও প্লেন ছাড়াও ওই এলাকায় চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে তল্লাশির কাজে যুক্ত করা হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, নৌকাটি ইতালির লাম্পেদুসায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু কোনো খোঁজ না মেলায় সেটি ডুবে গেছে বলে আশঙ্কা করছে এনজিওগুলো।

সংঘাত, সংঘর্ষ ও দারিদ্র্যের কষাঘাত ছেড়ে উন্নত জীবনের খোঁজে ইউরোপে পৌঁছাতে চাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠেছে তিউনিশিয়ার পূর্ব উপকূল এবং লিবিয়া।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টায় ২০২৩ সালে সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২ হাজার ২৭০ জন মানুষ। সংখ্যাটি তার আগের বছরের তুলনায় অন্তত ৬০ শতাংশ বেশি।

সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস
কেএএ/