উত্তরের গোলাবর্ষণে দ. কোরিয়ায় আতঙ্ক
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ২০২৩-এর অক্টোবরে শুরু হয়েছে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ। এবার ২০২৪-এর শুরুতেই যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি কোরীয় উপদ্বীপে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) উত্তর কোরিয়া তার পশ্চিম উপকূল থেকে দক্ষিণ কোরিয়া লক্ষ্য করে প্রায় ২০০টি আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছে সিউল। এই গোলা নিক্ষেপের পর ইওনপিয়ং দ্বীপের বেসামরিক ব্যক্তিদের নিরাপদ এলাকায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। দক্ষিণ কোরিয়ার এই দ্বীপ রাজধানী সিউল থেকে মাত্র ১১৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।
আরও পড়ুন>হামাসের অপারেশনে শেষ হবে ইসরায়েল: ইরানের প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইওনপিয়ং দ্বীপের কাছাকাছি এলাকায় উত্তর কোরিয়া প্রায় ২০০টি গোলা ছুড়েছে। তাই সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ এলাকায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উত্তরের এই পদক্ষেপে কোরীয় দ্বীপের শান্তি পরিস্থিতি হুমকির মুখে পড়েছে। সিউল এর উপযুক্ত জবাব দেবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। এর আগে, ২০১০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার এক দ্বীপ লক্ষ্য করে গোলা ছুড়েছিল উত্তর কোরিয়া। তারপর থেকে দুই দেশের মধ্যে এত বড় সামরিক সংঘাত আর দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন>পাকিস্তানে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবে সিনেটের অনুমোদন
তব গত কয়েকদিন ধরে কিম জং উন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার দক্ষিণ কোরিয়া ও তাদের মিত্রশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে যুদ্ধের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যেই এই হামলা চালালো পিয়ংইয়ং।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে বাইংনিয়ং দ্বীপের উত্তর অংশে জাংসান-গোট এলাকায় ২০০ রাউন্ড গোলা ছুড়েছে উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। এই হামলাকে উত্তরের পক্ষ থেকে উসকানি বলে উল্লেখ করেছে সিউল।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ক্রমবর্ধমান সংকটের সম্পূর্ণ দায় উত্তর কোরিয়ার। তাদের অবিলম্বে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য আমরা সতর্ক করছি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আমাদের সামরিক বাহিনী পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। উত্তর কোরিয়ার এই উসকানির যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমএসএম