ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

আরও এক অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:০২ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে সবার আগে আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার রাস্তাটা তার জন্য ক্রমশ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় অঙ্গরাজ্য হিসেবে আগামী বছরের মার্কিন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে ট্রাম্পকে ‘অযোগ্য’ বলে ঘোষণা করলো মেইন।

মেইনের শীর্ষস্থানীয় নির্বাচনী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি, ‘ক্যাপিটল হামলা’র পেছনে ট্রাম্পের ভূমিকার জন্যই তাকে ভোটে দাঁড়ানোর জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হলো। এর আগে ১৯ ডিসেম্বর একই কারণে কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের শীর্ষ আদালত ট্রাম্পকে ভোটের লড়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছিল।

আরও পড়ুন>২০২৪ সালে বিশ্বের জন্য বড় হুমকি ডোনাল্ড ট্রাম্প

২০২৪ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকানদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে সবথেকে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। কিন্তু পিছু ছাড়ছে না ইতিহাস। ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরেই তিনি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির মিথ্যা দাবি ছড়িয়েছিলেন। এইভাবে তিনি গণতন্ত্র বিরোধী বিদ্রোহ উসকে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন মেইন প্রদেশের সেক্রেটারি অব স্টেট শেনা বেলোস।

এই ডেমোক্রেট রাজনীতিক বলেছেন, হার নিশ্চিত বুঝে, ভোটের ফল ঘোষণা করা থেকে সংসদ সদস্যদের আটকাতে ট্রাম্প তার সমর্থকদের ক্যাপিটলে মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে অঙ্গরজ্যের সর্বোচ্চ আদালত এই বিষয়ে রায় না দেওয়া পর্যন্ত বেলোস তার সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন।

মার্কিন সংবিধানে একটি বিধান রয়েছে, আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন, এমন কোনো ব্যক্তি যদি সরকারবিরোধী অভ্যুত্থান বা বিদ্রোহে জড়িত থাকেন, তবে তাকে ফের প্রেসিডেন্ট পদে বসার অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হবে।

মেইন প্রদেশের কয়েকজন সাবেক পার্লামেন্টারিয়ান এই বিধানের উল্লেখ করে ট্রাম্পকে নির্বাচনে লড়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করার আবেদন করেছিলেন। তারই ভিত্তিতে এই রায় এসেছে।

তবে এই রায়টি শুধু মার্চের প্রাথমিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নভেম্বরের হবে সাধারণ নির্বাচন। তাতে লড়তে সমস্যা হবে না ট্রাম্পের। তবে এই রায়ের ফলে, সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে তাকে।

সূত্র: সিএনএন

এমএসএম