ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

‘শুধু সহায়তা দিলেই গাজায় সমস্যার সমাধান হবে না’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

গাজায় শুধু সহায়তা দিলেই সেখানকার সব সমস্যার সমাধান হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অক্সফাম আমেরিকার প্রধান স্কট পল। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যখন সেখানকার বাড়ি-ঘর, কল-কারখানা, খামার, মিল এবং বেকারিতে ক্রমাগত বোমা হামলা চালিয়ে সবকিছু ধ্বংস করা হচ্ছে তখন সহায়তা আসলেই কোনো কাজে আসবে না।

আরও পড়ুন: গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা, দুর্ভিক্ষের সতর্কতা

দারিদ্র্য ও অবিচারের অবসান ঘটাতে বিশ্বব্যাপী বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে অক্সফাম নামের এই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটি। পল বলেন, গাজায় আটা বা ময়দা সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু আপনি যদি সেগুলো দিয়ে খাবার তৈরি করতে না পারেন বা খাবার তৈরির পরিস্থিতি যদি না থাকে তবে সেখানে এগুলি কোনো কাজে আসবে না। তাই এখন যে বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে তা পুরোপুরি ভুল বলা যায়।

তিনি বলেন, গাজায় আসলে কী প্রয়োজন তা নিয়ে বাইডেন প্রশাসন এবং বাকি বিশ্বের মধ্যে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। বেশিরভাগ দেশ তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করছে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছে।

পল বলেন, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধান করা জরুরি। তিনি বলেন, সেখানে কতগুলো ত্রাণবাহী ট্রাক পৌঁছেছে তা নিয়ে কথা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের উচিত কতজন জীবন হারিয়েছে এবং আমাদের আশেপাশে যেসব অমানবিক ঘটনা ঘটছে সেসব নিয়ে কথা বলা।

দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। কিন্তু তারপরও বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সবশেষ নুসিরাত শরণার্থী শিবির ও খান ইউনুসে হামলার খবর পাওয়া গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সতর্ক করে জানিয়েছেন, গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন হয়ে পড়ছে। কারণ তীব্র লড়াইয়ের কারণে মানবিক সহায়তাসহ কোনো কিছুই সেখানে পাঠানো যাচ্ছে না।

যদিও গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। তবে মানবিক সংগঠনগুলো বলছে, যুদ্ধবিরতির দাবি ছাড়া কোনো কিছুই যথেষ্ট হতে পারে না।

আরও পড়ুন: অবশেষে নিরাপত্তা পরিষদে ‘গাজা প্রস্তাব’ পাস

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে প্রস্তাবটি পাস হয়। প্রস্তাবের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদের মোট ১৫ দেশের মধ্যে ১৩টি ভোট দিলেও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।

টিটিএন