অগণতান্ত্রিক আচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ
চার দেশের ১৪ ব্যক্তির ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা
সম্প্রতি একের পর এক ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া হোক কিংবা ইরান, বাংলাদেশ কিংবা মিয়ানমার, এমনকি পরম মিত্র ইসরায়েলকেও ছাড় দেয়নি বাইডেন প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার মধ্য আমেরিকার চার দেশের ১৪ ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশগুলো হলো নিকারাগুয়া, গুয়েতেমালা, হন্ডুরাস ও এল সালভাদর। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪ জন নিকারাগুয়ার, ৪ জন গুয়াতেমালার, ৩ জন হন্ডুরাসের ও ৩ জন এল সালভাদরের। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে ১৩ দেশের ৩৭ জন
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অগণতান্ত্রিক আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। তালিকাভুক্ত এসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই ১৪ জনের বিরুদ্ধে ইউনাইটেড স্টেটস-নর্দার্ন ট্রায়াঙ্গেল এনহেঞ্চড এনগেজমেন্ট অ্যাক্টের ৩৫৩ নম্বর ধারায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই জেনেশুনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বা প্রতিষ্ঠানকে অবমূল্যায়ন করেছেন ও উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছেন। পাশাপাশি গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া ও এল সালভাদরে দুর্নীতির তদন্তে বাধা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কারচুপি/ জিম্বাবুয়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছিলন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা ও গণতন্ত্রবিরোধী সহিংস কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন্ডুরাসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের অধীনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সে সময় মিলার আরও জানান, যারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন, তারা হন্ডুরাসে সহিংসতা, জনগণকে ভয়-ভীতি দেখানো ও সহিংসতা উসকে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কী হাসিল করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র?
নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর দেওয়া বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক শাসন নিশ্চিতে প্রচার চালানো-ই মার্কিন প্রশাসনের মূল উদ্দেশ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কৌশলগত অগ্রাধিকার।
‘দুর্নীতি ও অন্যান্য কার্যকলাপ মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর গণতন্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করছে, অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে ও যুক্তরাষ্ট্রমুখী অভিবাসীর ঢল সৃষ্টি করছে।’
এর আগে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) নতুন করে ১০ কোম্পানি ও চার ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ইরানে ড্রোনের জন্য বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ কোম্পানির বিরুদ্ধে ওই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ চিন্তিত নয়
এসব কোম্পানি তেহরানের সঙ্গে ড্রোনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায় যুক্ত রয়েছে। কোম্পানিগুলো মূলত ইরান, মালয়েশিয়া, হংকং ও ইন্দোনেশিয়ার।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ