পরপর দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে পরপর দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে একটি দূরপাল্লার অর্থাৎ, আন্তমহাদেশীয় (আইসিবিএম) বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া একত্রে উত্তর কোরিয়াকে হুমকি দিয়ে বলেছিল, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করলে কিমের দেশকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সোমবার উত্তর কোরিয়া পরপর দুটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক হামলা চালালে শেষ হবে কিমের শাসনামল: যুক্তরাষ্ট্র
ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার উপর আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তা সত্ত্বেও গত এক বছরে একের পর এক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে কিম জং উনের দেশ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সোমবার জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র হোক্কাইডোর কাছে সমুদ্রে গিয়ে পড়েছে। উত্তর করিয়া থেকে ছোঁড়ার এক ঘণ্টা পরে সেটি সমুদ্রে গিয়ে পড়ে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি এক হাজার কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। সেটি একটি উঁচু জায়গা থেকে ছোঁড়া হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আশেপাশের দেশে ক্ষেপণাস্ত্রটি যাতে কোনোভাবেই আঘাত না করে সে জন্যই উঁচু প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ন্যাটো ইস্যুতে বাইডেনের মন্তব্যকে ‘ননসেন্স’ বললেন পুতিন
এদিকে, জাপানের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি ছয় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি উচ্চতায় উঠেছিল। জাপানের সংসদীয় প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী শিঙ্গো মিয়াকে সাংবাদিকদের বলেন, এটি আইসিবিএম শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্র, যার পরিসীমা ১৫ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। এ পরিসীমার ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৭৩ মিনিট ওড়ার পরে সমুদ্রে পড়ে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স
এসএএইচ