ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

শেষ হলো কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০৯:০৫ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

কলকাতার সিনেমাপ্রেমী লোকজনের উন্মাদনার সমাপ্তি হলো। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ২৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শেষ দিন ছিল। কলকাতার নন্দনের রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে শুরু হয় শেষ দিনের অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর, কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ইন্দ্রনীল সেন,পরিচালক গৌতম ঘোষ, রাজ চক্রবর্তীসহ বিশিষ্টরা।

আরও পড়ুন: কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে সাড়া ফেলেছে ‘নোনা পানি’

অনুষ্ঠানের শুরুতেই নৃত্য পরিবেশন করেন টলিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহান, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভলী মৈত্র । বিশ্বের ৩৯টি দেশ থেকে আসা সিনেমার ডালি সাজিয়ে এবারের কলকাতার ২৯তম চলচিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতার আসর ছিল জমজমাট। চলচ্চিত্র উৎসবে একমাত্র বাংলাদেশের ছবি ‌‘নোনা পানি’ বেশ ভালো সাড়া ফেলেছে সিনেমাপ্রেমী মানুষদের মনে।

jagonews24.com

তবে কলকাতার লোকজনের দাবি আগামী দিনে আরও বেশি করে বাংলাদেশের সিনেমা দেখানো হয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। পরবর্তী ‍উৎসবের জন্য আবারো এক বছরের অপেক্ষা। কমতে থাকা রবীন্দ্রসদনের আলো একটু মন খারাপ করে দিল সিনেমাপ্রেমীদের। বছরের শেষ মাসে বিশ্ব সিনেমার বঙ্গ ভ্রমণ সম্পূর্ণ হলো।

৮ দিনের এই উৎসবের শেষ দিনে ৩৯ টি দেশের মোট ২১৯ টি ছবি দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৬৯টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি এবং ৫০টি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ও তথ্যচিত্র। এর মধ্যে বিদেশি ছবির সংখ্যা ৬৩টি।

jagonews24.com

নন্দন-১,২,৩, শিশির মঞ্চ, প্রিয়া, নজরুল তীর্থ-১,২, রবীন্দ্রসদন, নবীনা, সাউথ সিটি, মিনার, বিজলী, মেনকা, অশোকা, স্টার, রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবন, কোয়েস্ট মলসহ কলকাতার ২৩টি পেক্ষাগৃহে এই ছবিগুলো প্রদর্শিত হয়েছে।

শুরুতেই উদ্বোধনী ছবি হিসেবে দেখানো হয়েছিল উত্তম কুমার, তনুজা, তরুন কুমার, লিলি চক্রবর্তী অভিনীত বাংলা ছবি ‘দেয়া নেয়া’। এবারের উৎসবে ফোকাস কান্ট্রি ছিল স্পেন আর স্পেশাল ফোকাস কান্ট্রির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে।

আরও পড়ুন: কলকাতায় অনুষ্ঠিত হলো ইন্দো-বাংলা নোয়াখালী উৎসব

কলকাতা ২৯তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ থেকে ঠাঁই পেয়েছে মাত্র একটি ছবি। পরিচালক সৈয়দা নীগার বানুর ‘নোনা পানি’। এ বছরের ক্যাচ লাইন ছিল বিশ্ব সিনেমার বঙ্গ ভ্রমণ।

ডিডি/টিটিএন