ইউনিসেফ
গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ শিশুদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার শামিল
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণ সরবরাহের ক্ষেত্রে যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে তার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই অবরোধ গাজার শিশুদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার শামিল।
ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক আদিলি খোদর শনিবার (৯ ডিসেম্বর) একথা বলেন। এসময় তিনি গাজার মানবিক পরিস্থিতির ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: অনাহারে দিন কাটাচ্ছে গাজার অর্ধেক মানুষ
আদিলি খোদর বলেন, সরেজমিনে আমাদের টিমের সদস্যরা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারানো এবং মারাত্মকভাবে পুড়ে যাওয়া শিশুদের সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। তারা বলছেন, শিশুরা তাদের চারপাশে অব্যাহত হামলার কারণে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে।
গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ আগ্রাসন এবং গণহত্যা ও অবরোধের প্রভাব উল্লেখ করে ইউনিসেফের এই কর্মকর্তা বলেন, সেখানকার প্রায় ১০ লাখ শিশু যুদ্ধের কারণে উদ্বাস্তু হয়েছে।
তারা ছোট্ট তাঁবুতে কিংবা সামান্য জায়গায় গাদাগাদি করে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগেরই প্রয়োজনীয় খাদ্য, পানি অথবা সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় তারা প্রতি মুহূর্তে নানা ধরনের সংক্রামক ও পানিবাহিত রোগের ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় সামান্য পরিমাণ ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ দিচ্ছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। এর পাশাপাশি ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলা এবং জ্বালানি সংকটের কারণে পরিস্থিতি আরও বেশি বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পক্ষ নিলো বাংলাদেশ
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা এবং গাজার শিশু ও বেসামরিক জনগণের দুর্ভোগ বন্ধের জন্য এটি জরুরিভিত্তিতে করা দরকার।
টিটিএন