সাহায্য না পেলে মারা যাবো, আকুতি ওলেনা জেলেনস্কির
পশ্চিমা মিত্রদের থেকে অর্থ সাহায্য বন্ধ হয়ে গেলে ইউক্রেনীয়রা ‘মহাবিপদে’ পড়বে বলে সতর্ক করেছেন ইউক্রেনের ফার্স্টলেডি ওলেনা জেলেনস্কি। তার মতে, সাহায্য বন্ধ করা মানে ইউক্রেনীয়দের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের জন্য ছয় হাজার কোটি ডলারের একটি সহায়তা প্রস্তাব আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। বাইডেন প্রশাসন আগেই সতর্ক করেছে, ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা তহবিল শিগগির ফুরিয়ে আসতে পারে।
আরও পড়ুন>> টাকা না পেয়ে `গোসসা' করেছেন জেলেনস্কি, মার্কিন সিনেটে ভাষণ বাতিল
কিন্তু সহায়তা প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য শর্ত বেঁধে দিয়েছেন রিপাবলিকান সিনেটররা। ইউক্রেনের আর্থিক সহায়তা ছাড়ের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা তহবিলের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে সমঝোতা চান তারা।
বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনের সহায়তা ছাড়ে সম্মত না হওয়া হবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য ‘উপহার’। রিপাবলিকানদের উদ্দেশ্যে তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, স্বাধীনতার স্বার্থ থেকে যারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, ইতিহাস তাদের কঠোরভাবে বিচার করবে।
আরও পড়ুন>> মিত্রদের ওপর ভরসা করতে পারছে না ইউক্রেন, নিজেরাই বানাবে অস্ত্র
ইউক্রেনের আর্থিক সহায়তা নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে এমন দোলাচলে উদ্বিগ্ন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনিস্কির স্ত্রী ওলেনা। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সহায়তা কমে গেলে তার দেশ ভয়াবহ বিপদে পড়বে।
ইউক্রেনীয় ফার্স্টলেডি বলেন, আমাদের সত্যিই সাহায্য দরকার। সহজ কথায়, আমরা এমন পরিস্থিতিতে ক্লান্ত হতে পারি না। কারণ, ক্লান্ত হলেই মারা পড়বো। আর যদি বিশ্ব ক্লান্ত হয়ে যায়, তার অর্থ হবে, আমাদের মৃত্যুর মুখে ছেড়ে দেওয়া।
আরও পড়ুন>> ইউক্রেন থেকে বিশ্বের নজর সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত
ওলেনা আরও বলেন, ইউক্রেনকে সাহায্য করার ইচ্ছা ম্লান হওয়ার লক্ষণগুলো আমাদের খুব কষ্ট দেয়। এটি আমাদের জীবন-মরণের প্রশ্ন।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ তসলিমা নাসরিনের ‘লজ্জা’ অবলম্বনে নির্মিত নাটকে মমতার নিষেধাজ্ঞা
- ২ ট্রাম্পের এআই উপদেষ্টা হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষ্ণান
- ৩ বাংলাদেশের জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্য প্রতিবেশী দেশে বেচতে চায় আদানি
- ৪ নিউইয়র্কে পাতাল ট্রেনে নারীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যা
- ৫ ইউক্রেনের একের পর এক গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার