কলকাতায় প্রথমবারের মতো হচ্ছে ইন্দো-বাংলা গ্রেটার নোয়াখালী উৎসব
প্রথমবারের মতো পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় পালন করা হবে ইন্দো-বাংলা গ্রেটার নোয়াখালী উৎসব। কলকাতার সল্টলেকে পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (৩ ডিসেম্বর) কলকাতার গড়িয়াহাটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কলকাতার খ্যাতনামা সাংবাদিক ও সমাজসেবক রক্তিম দাশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উৎসব আয়োজন কমিটির সভাপতি ধীরাজ মোহন চন্দ, কার্যকরী কমিটির সভাপতি রাখাল মজুমদার, আহ্বায়ক রক্তিম দাস, নোয়াখালী সম্মেলনের সম্পাদক মনোজ রায় ভৌমিক প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জামায়াত-হেফাজত-রাজাকার-রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছেন মমতা: শুভেন্দু
রক্তিম দাশ জানান, ওই উৎসবে বাংলাদেশ থেকে দুই শতাধিক প্রতিনিধি যোগ দেবেন। যাদের মধ্যে থাকবেন নোয়াখালীর গুনী ব্যাক্তিরা। এপার বাংলা ও বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে যোগ দেবেন আরও প্রায় ৭০০ জন মতো। এই অনুষ্ঠানে থাকছে প্রতিদিন গুনীজন সংবর্ধনা,আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে উপস্থিত থাকবেন সংগীতশিল্পী গঙ্গাধর তুলিকা ও প্রতুল মুখোপাধ্যায়।
রক্তিম দাশ আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে অশান্তি বেড়েছে, যাতে ভারত-বাংলাদেশও আক্রান্ত। আমাদের দেশ আলাদা হলেও, আত্মিক সম্পর্ক চিরন্তন। সেই জায়গা থেকে দুই দেশের মানুষকে একত্রিত করার বিভিন্ন রকম প্রক্রিয়া সরকারিভাবে চলছে। বৃহত্তর নোয়াখালী সম্পর্কে প্রায় সবাই জানে। আমরা এপার বাংলার মানুষ যারা নোয়াখালীর বাসিন্দা, তারা নোয়াখালীর ক্ষতে যতটা প্রলেপ দেওয়া যায় সেই চেষ্টাটা করছি।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে কলকাতায় যাচ্ছেন ৩০ বীর মুক্তিযোদ্ধা
তিনি আরও বলেন, এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য সারাবিশ্বে যত নোয়াখালীর মানুষ রয়েছে, তাদের সবাইকে একটি মঞ্চে নিয়ে আসা। যার কাজটা শুরু করেছে এই নোয়াখালী সম্মেলন। এই উৎসবটা এখন কলকাতায় হচ্ছে, আগামী বছর বাংলাদেশের নোয়াখালীতে হবে, তারপরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় হবে।
রক্তিম দাশ আরও জানান, দুই দেশের ব্যবসার উন্নয়নের জন্য এই নোয়াখালী উৎসবে আমাদের আলোচনা হয়েছে। বেসরকারিভাবে পর্যটন ও শিক্ষা ক্ষেত্রেও দুই দেশে বসবাসকারী নোয়াখালীর মানুষদের নিয়ে কাজ করা এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের আগে বিজেপির বাজিমাত
সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালী উৎসবের সভাপতি ধীরাজ মোহন ছন্দ বলেন, সারাবিশ্বে নোয়াখালীর যেসব মানুষ আছেন, তাদের এক জায়গায় নিয়ে আসাটাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। সবাই মিলে দুই বাংলার জন্য সব ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করবো। আমরা চাই, সবাই এক জায়গায় এসে নিজের নোয়াখালীকে চিনুক, জানুক।
নোয়াখালীর মানুষ বস্ত্র ব্যবসায়ী সুকান্তি সাহা জানান, এপার বাংলা-ওপার বাংলা বলে কিছু নেই। আমরা যে ভাষায় কথা বলি, সেটাই আমাদের বাংলা। আমার জন্মস্থান নোয়াখালী। সেই অঞ্চলের প্রসিদ্ধ লোকেরা এই উৎসবে আসবেন। তিন দিন আমরা সেই উৎসবে গা ভাসাবো। এই উৎসবে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বহু দেশ থেকে নোয়াখালীর নাগরিকরা একত্রিত হবেন।
ডিডি/এসএএইচ