চাঁদে মানুষের অবতরণ শুধুই নাটক
১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে এডউইন অলড্রিনকে সঙ্গে নিয়ে নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে অবতরণ করেন। সে সময় মাইকেল কলিন্স মূল নভোযানে অবস্থান করেন। এই ঘটনার সঙ্গে বিশ্বের প্রতিটা মানুষই কম বেশি পরিচিত।
কিন্তু এই ঘটনার পেছনে অনেক বড় একটা মিথ্যা আর প্রতারণা জড়িত ছিল। সেটা অনেকেরই অজানা। তবে মিথ্যা আর প্রতারণা বেশিদিন ঢাকা থাকে না। একদিন তা প্রকাশ হবেই।
হলিউডের সাবেক ক্যামেরাম্যান ম্যাক্স কানার্ড বিখ্যাত ওই ঘটনা অর্থাৎ চাঁদে অবতরণের প্রকৃত নাটকটা ফাঁস করে দিয়েছেন। ৮১ বছর বয়সী ওই ক্যামেরাম্যান একটু ব্যঙ্গ করে বলেন, ১৯৬৫ সালের গ্রীষ্মে আমি প্রথম চাঁদে হেঁটেছি। সেই হিসেবে নীল আর্মস্ট্রংয়ের চার বছর আগেই তিনি চাঁদে অবতরণ করেছেন!
আন্তর্জাতিক অনলাইন ম্যাগাজিন ওজিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ম্যাক্স বলেন, এতদিন ধরে আপনারা যা জেনে এসেছেন তা মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। অবশ্যই এটা ঠিক আমি বা অ্যাপোলোর কেউ সত্যিই চাঁদে পা রাখি নি। আর আমার মনে হয় আপনাদের মধ্যে অনেকেই এই ঘটনাকে ইতোমধ্যেই সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন। তবে এ ঘটনায় আমি মোটেও গর্বিত নই। কারণ ওটা ছলচাতুরি ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
তারা বলেছিল এটা মানুষের জন্য একটা সামান্য মিথ্যা। কিন্তু এটা পুরো মানবজাতির জন্য একটা ভয়ঙ্কর ধোঁকাবাজি।
আসলে আমরা একটা নকল মুভি তৈরি করেছিলাম। তৎকালীন সময়ে তেহরানে বন্দি থাকা ছয় মার্কিনিকে মুক্তির জন্যই শুধু এটা করিনি। বরং এটা করেছিলাম দুই কোটি মানুষকে বাঁচানোর জন্য। ধরে নিন এটা বড় ধরনের ঠকবাজী অথবা সরকারের ষড়যন্ত্র।
ম্যাক্সের মতে, চাঁদে মানুষের অবতরণ ছিল রাজনীতির একটা অংশ। আসলে এটা শীতল যুদ্ধে জয়লাভের উদ্দেশেই করা হয়েছিল। আর আমার মনে হয় এটা অনেকের জন্যই সুফল বয়ে এনেছিল। আমি এটা বলতেই পারি নাসার অ্যাপোলো বাজেটের ক্ষেত্রে তা অবশ্যই সফল।
তবে ওই ঘটনা হলিউডের কোনো স্টুডিওতে ধারণ করা হয়নি। এটা লন্ডনের উত্তরাংশে ধারণ করা হয়।
নিশ্চয়ই এখন আপনাদের মনে হচ্ছে আমি এত কিছু কিভাবে জানলাম? আমাকে তো জানতেই হবে। কারণ আমিই তো ছিলাম ওই ফিল্মের ক্যামেরাম্যান।
কিভাবে ওই ফিল্মে আমি যোগ দিলাম তা একটু বলে নেই। ১৯৬৪ সালে ড. স্ট্রেঞ্জলাভার মুভিটা দেখে আমার জীবন বদলে যায়। আর ততদিনে আমি জানতে পারলাম এর ডিরেক্টর স্টেনলি কুবরিক তার পরবর্তী মুভির জন্য একজনকে খুঁজছেন যিনি তাকে সাহায্য করতে পারবেন। আমি কোনো কিছু চিন্তা ভাবনা না করেই এর জন্য আবেদন করলাম। এরপর কুবরিক আমাকে ডাকলেন। সেখানে গিয়ে আমি জানতে পারলাম কুবরিক মহাকাশ ভ্রমণের ওপর ওপর একটা মুভি বানাবেন। আর তা অবশ্যই বিজ্ঞানভিত্তিক হতে হবে।এরপর কুবরিক আমাকে তার কাজের জন্য চূড়ান্ত করলেন।এরপর আমাকে একটা কন্ট্রাক্টে সই করতে হলো।
সেখানে আমি বহু খ্যাতনামা বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ এবং সায়েন্স ফিকশনের লেখককে আসা যাওয়া করতে দেখেছি।
১৯৬৫ সালে গ্রীষ্মের শুরুতে আমি আমার স্ত্রী, সন্তানদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। আর সেখানেই ওই বিখ্যাত প্রতারণামূলক ফিল্ম তৈরির কাজ করি আমরা।
প্রথমদিকে আমি ওই ফিল্মের কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। পরে যখন জানলাম আমি সত্যিই খুব অবাক হয়েছিলাম। তবে আমাদের কাছ থেকে যে কাগজে সই নেয়া হয়েছিল, সেখানে লেখা ছিল রাশিয়ার কাছে আমরা দূর্বল হয়ে পড়েছি। তাদের অনেক বেশি ক্ষেপণাস্ত্র, অনেক বেশি সৈন্য এবং অনেক অনেক বেশি মহাকাশ গবেষণামূলক প্রোগ্রাম রয়েছে। তারা ১৯৬৭ সালের দিকে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। তাদের ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই নাসার উদ্যোগে চাঁদে প্রথম মানুষ আমেরিকা থেকেই পাঠাতে হবে।
আমরা ভেবেছিলাম এটা আমাদের দেশের জন্য করা হচ্ছে। আর যখন দেশগুলোর মধ্যে শীতল যুদ্ধের অবসান হবে তখন নিশ্চই এই সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।
১৯৬৮ সালে আমাদের ফিল্মের পুরো কাজ সম্পন্ন হয়ে গেল। এখন শুধু সেটা দর্শকদের দেখানোর অপেক্ষা। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই আমাদের ধারণকৃত সেই ফিল্মটা আমেরিকার টেলিভিশনগুলোতে লাইভ প্রচারিত হচ্ছিল। লাখ লাখ আমেরিকান অধীর আগ্রহ নিয়ে তা উপভোগ করছিল।
পাঠককে বোকা বানাতে এপ্রিল ফুলের জন্য এই খবরটি প্রচার করেছে ওজি ম্যাগাজিন ।
টিটিএন/এবিএস