ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

খান ইউনিস শহরও খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:২৯ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

উত্তর গাজার পর এবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর ছাড়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান শুরু করার পর লাখ লাখ মানুষ সেখান থেকে পালিয়ে খান ইউনিসে আশ্রয় নেন। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন নিদের্শনার ফলে দক্ষিণাঞ্চল থেকেও লোকজনকে সরে যেতে হচ্ছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে একেবারে নির্মূল করে ফেলাই হচ্ছে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১২০০ মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচ হাজারই শিশু।

আরও পড়ুন: গাজার দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৫

শনিবার খান ইউনিসের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ওই ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। কিন্তু খান ইউনিসে লিফলেট বিতরণ করেছে ইসরায়েল। সেখানকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপদেষ্টা মার্ক রেজেভ বলেন, আমরা লোকজনকে অন্যত্র চলে যেতে বলছি কারণ আমরা চাই না বেসামরিক মানুষজন ক্রসফায়ারে মারা যাক। তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ টানেলে লুকিয়ে থাকা হামাস যোদ্ধাদের নিমূর্ল করতে ওই শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার দরকার হতে পারে ইসরায়েলি বাহিনীর।

এদিকে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, গাজার মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত ক্যাম্পের একটি বাড়িতে হামলার ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছে। অপরদিকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে হামলার ঘটনায় এক নারী এবং তার এক সন্তান নিহত হয়েছে।

আরও পড়ুন: গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৮০

এর আগে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, শনিবার গাজার উত্তরাঞ্চলের একটি শরণার্থী শিবিরে জোড়া হামলার ঘটনায় ৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত লোকজনের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত জাতিসংঘের একটি স্কুলও রয়েছে।

টিটিএন