ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ৫ কোটি টাকার সোনাসহ আটক ১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০২৩

ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে আবারও উদ্ধার করা হলো বিপুল পরিমাণ চোরাই সোনা। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে আটক হয়েছেন এক চোরাকারবারি।

জানা যায়, বুধবার সকালে সোনা পাচারকালে এক ট্রাকচালককে আটক করেন বিএসএফ জওয়ানরা। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৬০টি সোনার বার। এগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৩২ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় পাঁচ কোটি টাকার বেশি)।

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার সোনা পাচারকালে আটক ৪

আটক চোরাকারবারির নাম সুরজ মগ। বয়স ২৩ বছর। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার জয়পুর গ্ৰামের বাসিন্দা তিনি। সোনার বারগুলো বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হচ্ছিল।

বিএসএফ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে আইসিপি পেট্রাপোল স্থলবন্দরে চেকপোস্টে ১৪৫ ব্যাটালিয়নের ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা একটি খালি ট্রাক বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিকে আসতে দেখেন। ট্রাকটি থামিয়ে তারা তল্লাশি চালান।

এসময় ট্রাকের পেছনের সিটের কেবিনের ভেতর থেকে সাদা স্বচ্ছ টেপে মোড়ানো ৬০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রাকচালককে আটক ও সোনার বারগুলো জব্দ করে বিএসএফ।

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া ১৪ কেজি সোনা উদ্ধার, আটক ২

জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সুরুজ মগ বলেন, প্রায় এক বছর ধরে আমি এই ট্রাকটি চালাচ্ছি। প্রায়ই পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর দিয়ে কলকাতা থেকে মালামাল বাংলাদেশে নিয়ে যাই।

তিনি জানান, গত সোমবার রপ্তানি পণ্য বোঝাই করে ট্রাক নিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে গিয়েছিলাম। ট্রাকটি খালি করতে দেরি হওয়ায় মঙ্গলবার সেখানেই পার্কিং করে রাখি। পণ্যবাহী ট্রাকটি খালি করার পর মোহাম্মদ মামুন নামে এক বাংলাদেশি নাগরিক আমাকে সোনার বারগুলো দিয়ে পেট্রাপোলের আজগর শেখ নামে এক ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করতে বলেন। বিনিময়ে আমাকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ থেকে ৪ কোটি টাকার সোনা পাচার, পেট্রাপোলে আটক ১

মায়ের চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজন। সে কারণেই সুরজ মগ বেআইনি সোনা পাচারে রাজি হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তি ও জব্দ সোনার বারগুলো কলকাতা শুল্ক দপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ডিডি/কেএএ/