ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার মন্ত্রীর পাশে মমতা

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি | কলকাতা | প্রকাশিত: ০৯:৫৩ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০২৩

 

শারিরীক অসুস্থতার জন্য বাড়িতেই ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কলকাতার কালীঘাটের বাড়ি থেকেই প্রায় দুই মাস প্রশাসনিক সব কাজকর্ম সামলেছেন। তবে ৫০ দিন পর মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজ্যের সচিবালয় ‘নবান্নে’ আসেন তিনি। সেখানে একের পর এক বৈঠক করেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে।

মমতা অসুস্থ থাকতেই রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের (ইডি) হাতে গ্ৰেফতার হন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বুধবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে এ বিষয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। কার্যত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশে দাঁড়ালেন তিনি।

আরও পড়ুন: ‘বারবার দুর্ঘটনা, রেলওয়ের ঘুম কবে ভাঙবে?’

মমতা বলেন, সবাইকে গ্রেফতার করে নিলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ভেস্তে দেওয়া যাবে ভাবছে? ওরা ভাবছে, সব মন্ত্রীকে কিছু না কিছু বলে গ্রেফতার করবে? কিছুই প্রমাণ হলো না, আপনারা চোর বানিয়ে দিলেন? একবারও কি ভেবেছেন, তার পরিবারের কী অবস্থা? যারা জ্যোতিপ্রিয়’র বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন, তাদের নিজেদের কত বেনামি সম্পত্তি আছে তা কি আমরা জানি না?

তিনি বলেন, কাদের কত সম্পত্তি রয়েছে, সবই আমার জানা আছে। কাদের ৬০-৭০-৮০টা ট্রলার আছে, কয়টা গাড়ি আছে, কয়টা পেট্রোল পাম্প আছে, আমরা সেসব কাগজপত্র বের করছি। এতদিন করিনি, এবার করছি।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ইঙ্গিত করে মমতা বলেন, মন্ত্রী থাকার সময় হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান হিসেবে কত জমি কত টাকায় বিক্রি করেছেন কেউ জানে? কেঁচো খুঁড়তে গেলে সাপ বের হবে।

আরও পড়ুন: স্পেনে শাড়ি-স্যান্ডেল পরে মমতা ব্যানার্জীর জগিং, ভিডিও ভাইরাল

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে আমরা কিছু করি না। অনুসন্ধান, তদন্ত আমরা করতেই পারি। কিন্তু নির্বাচনে জেতার পর আমরা বলেছিলাম, বদলা নয় বদল চাই।

তবে যদি কেউ একতরফাভাবে কিছু করে যায়, তাহলে সেটা লেবু কচলাতে কচলাতে তিতা হয়ে যাওয়ার মতো হয়ে যায়। আকাশছোঁয়া দুর্নীতির ওপর বসে থেকে কেউ যদি অন্যকে টার্গেট করে, তাহলে এর জবাব দেওয়ার জন্য মানুষ তৈরি।

এদিন ১০০ দিনের কাজের বকেয়ার বিষয়টি নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আবারও সরব হন তৃনমূল কংগ্রেস প্রধান। বলেন, ১০০ দিনের কাজ নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। সাত হাজার কোটি রুপি পাওনা আছে আমাদের। সাতজন ভিকটিম গিয়েছিল, কিন্তু তাদের সঙ্গে কেউ দেখা করেনি।

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানের কথায় কেন বদল চান মমতা

অন্যদিকে, মমতার হুশিয়ারির জবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, উনি বাপের বেটি হলে করে দেখাক। বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত করেছি, লোকসভা নির্বাচনেও পরাজিত করবো।

ডিডি/এসএএইচ