ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ঝুঁকি আছে জেনেও উত্তরাঞ্চলে ফিরে যাচ্ছেন অনেক ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

ইসরায়েলের চলমান বিমান হামলার কারণে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল থেকে অনেক ফিলিস্তিনি নাগরিকই নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন এসব অসহায় মানুষ।

আর কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে তারা এখন আবারো সেই উত্তরাঞ্চলেই ফিরে যেতে শুরু করেছেন। জাতিসংঘের এর শীর্ষ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: হামাসের পতন হলে গাজার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে?

নিজেদের নিরাপত্তার জন্য গত সপ্তাহে গাজা সিটি এবং উত্তরের অন্যান্য অঞ্চল থেকে প্রায় ১১ লাখ ফিলিস্তিনি চলে গেছেন বলে জানিয়েছিল ইসরায়েল। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, উত্তরাঞ্চল থেকে যারা দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয়ের জন্য গিয়েছিলেন তারা সেখানে চরম বিপাকে পড়েছেন। গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও তারা আশ্রয়, খাদ্য এবং খাবার পানির তীব্র সংকটে দিন পার করছিলেন।

এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় সেখানে শত শত ফিলিস্তিনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তারা গাজার বিভিন্ন স্থানে হামাস নিয়ন্ত্রিত বেশ কিছু টার্গেট লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় এক রাতেই আরও কমপক্ষে ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। হামাসের মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলের অভিযানে আরও ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছে এবং আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।

ইসরায়েলের এসব হামলাকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। টানা কয়েকদিন ধরেই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে।

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় গত কয়েকদিনে তাদের সেনারা চার শতাধিক টার্গেটে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি মসজিদও রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি দাবি করেন, যেসব মসজিদে হামলা চালানো হয়েছিল সেগুলো বৈঠকের জন্য ব্যবহার করছিল হামাস।

টিটিএন