নতুন চীনা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানালো তালেবান
তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর আফগানিস্তান পুরো বিশ্ব থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলা যায়। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি বেশির ভাগ দেশ। তবে এরই মধ্যে বেশ কিছু দেশ আবার সহায়তার হাতও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই তালিকায় প্রথম সারিতে আছে চীন। দেশটি আফগানিস্তানে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে।
বুধবার কাবুলে তালেবানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের পরিচয়পত্র উপস্থাপন করেছেন নতুন চীনা রাষ্ট্রদূত। তালেবান সরকার বলছে, অন্য দেশগুলোর সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক স্থাপনের ইঙ্গিত হচ্ছে চীনা রাষ্ট্রদূত হিসেবে ঝাও জিংয়ের নিয়োগ।
আরও পড়ুন: এবার আফগানিস্তানে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করলো তালেবান
বুধবার এক জমকালো আয়োজনে রাজধানী কাবুলে অবস্থিত প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে ঝাও জিংকে স্বাগত জানান তালেবান নেতারা। এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সে সময় দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ এবং ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনা এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বেইজিং। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, আফগানিস্তানের প্রতি তাদের নীতি স্পষ্ট এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তবে এবারই প্রথম নয়, আগে থেকেই আফগানিস্তানে রাষ্ট্রদূত বহাল রেখেছে চীন। এর আগে চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ওয়াং ইউ। গত মাসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হয়।
আরও পড়ুন: ঢোল-তবলা-স্পিকারে আগুন দিলো তালেবান
বিশ্বের কোনো দেশই এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু প্রথম থেকেই যেসব দেশ আফগানিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে তার মধ্যে চীন অন্যতম।
আফগানিস্তানে বেইজিংয়ের উল্লেখযোগ্য স্বার্থ রয়েছে। দেশটি এমন একটি অঞ্চলের কেন্দ্রে রয়েছে যা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রজেক্টের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ওই অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বাড়াতেই নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে চীন।
টিটিএন