ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৫০০ ছুঁই ছুঁই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:১৮ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মরক্কোতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার ৫০০ জনে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া প্রায় একই সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এসব তথ্য জানায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দেশটির বহু গ্রাম। তেমনই এক গ্রামের নাম তাফেঘাঘতে। অ্যাটলাস পর্বতমালা সংলগ্ন গ্রামটি পরিদর্শনে গেলে বিবিসি টিমের সঙ্গে প্রথম যে বাসিন্দার দেখা হয়, তিনি বলেন, এই গ্রামের মানুষজন হয় হাসপাতালে, না হয় মৃত।

ধ্বংসস্তূপ পার করে ওপরের দিকে উঠতে উঠতেই বোঝা যাচ্ছিল, কেন গ্রামটির কেউ নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি। ইট-পাথরের তৈরি গ্রামের পুরোনো ধাঁচের বাড়িগুলো কোনোভাবেই এই মাত্রার ভূমিকম্প সামাল দেওয়ার মতো ছিল না। গ্রামটির সঙ্গে লাগোয়া পাহাড়ি রাস্তার মোড়ে একটি বড় তাঁবুতে বেশ কয়েকটি পরিবার একসঙ্গে অপেক্ষা করছিল। সবদিক থেকেই শোনা যাচ্ছিল অবিরাম কান্নার আওয়াজ।

jagonews24

এর আগে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টার কিছু পরে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে নিহত অধিকাংশ লোকজন দুর্গম পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা, যেখানে পৌঁছানো খুব কঠিন। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মরক্কোর জনপ্রিয় পর্যটন শহর মারাকেশ।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর মরক্কোয় হতাহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। চলছে উদ্ধার অভিযান। তবে আফটারশকের কারণে সেখানের মানুষের আতঙ্ক কমছে না। এমন পরিস্থিতিতে ঘরে ফিরতেও ভয় পাচ্ছে অনেকে।

মারাকেশ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক জোনাহ হাল জানান, পুরোনো শহরের কেন্দ্রীয় স্কয়ারে প্রচুর মানুষ দেখা গেছে। শনিবার এখানেই তাদের রাত কেটেছে। কিছু ভবন ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় পুলিশ বাসিন্দাদের ঘরে ফিরতে নিষেধ করেছে।

হাল আরও জানান, আফটারশকের কারণে এখনো অনেকেই আতঙ্কিত। বাইরে থাকতেই স্বস্তিবোধ করছেন তারা। অন্যদিকে, অনেকেই সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে ওই স্কয়ারে যারা থাকছেন, তাদের সহায়তা করার চেষ্ট করছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর আরও বেশ কয়েকবার মৃদু কম্পন (আফটারশক) অনুভূত হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল ৫ মাত্রার।

সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা

এসএএইচ