এবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সুলাওয়েসি দ্বীপের মিনাহাসা উপদ্বীপে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি অগভীর ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠ দেশটির মিনাহাসা উপদ্বীপ। তবে এ ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্স (জিএফজেড) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার (৬ দশমিক ২১ মাইল) গভীরে। ইন্দোনেশিয়ার ভূপদার্থবিদ্যা সংস্থা বিএমকেজি বলেছে, অগভীর এ ভূমিকম্পের কারণে সুনামির সম্ভাবনা নেই।
এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপদেশ ইন্দোনেশিয়ার জন্যসংখ্যা সাড়ে ২৭ কোটিরও বেশি। ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের কারণে দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে থাকে। মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের কথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থান হওয়ায় এখানে প্রায়ই ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাত দেখা যায়।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট ভোরে দেশটির অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র বালিসহ লম্বক অঞ্চলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর আগে গত বছরের ২১ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেবার প্রাথমিকভাবে ৫৬ জনের প্রাণহানির তথ্য জানানো হয়। পরে ওই ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ৩১০ জনে পৌঁছায়।
তারও আগে ২০১৮ সালে একই ইন্দোনেশিয়ার একই এলাকায় সাড়ে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেবার ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামি দেখা দেয়, যাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটে।
এদিকে, শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার কিছু পরে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ও ৪ দশমিক ৯ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। মরক্কোর পর্যটন শহর মারাকেশ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র: রয়টার্স