কলকাতায় কতটা বাড়লো ডাবের দাম?
কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে অল্প বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কমেনি গরম। সূর্যের প্রখর রোদে পুড়ছে গোটা রাজ্য। তার মধ্যে ডেঙ্গুর চোখরাঙানিও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু জ্বরের দুর্বলতা কাটাতে ও সূর্যের দাবদাহ থেকে বাঁচতে ডাবের পানিতে গলা ভেজান অনেকে। তাই কয়েকদিনের ব্যবধানে রাজ্যজুড়ে ডাবের চাহিদা বেড়েছে হু হু করে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দামও।
বর্তমানে ডাবের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও অনেকেই এর দাম শুনে রীতিমতো আঁতকে উঠছেন। নিম্নআয়ের মানুষের কাছে দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে ডাবের মিষ্টি পানির স্বাদ গ্রহণ।
আরও পড়ুন>> ৫০ টাকার ডাব যেভাবে ২০০ টাকা
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কলকাতা ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে বড় মাপের যে ডাবের দাম আগে ছিল ৫০ থেকে ৬০ রুপি, সেগুলো এখন সর্বোচ্চ ১০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। আকারে তুলনামূলক ছোট ডাবের পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ রুপিতে।
তবে হাসপাতালগুলোর আশপাশে ডাবের দাম আরও চড়া। অন্যান্য এলাকায় যে ডাব ৪০ থেকে ৫০ রুপিতে পাওয়া যায়, হাসপাতালের সামনে তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ রুপিতে।
আরও পড়ুন>> ডাব কেনাবেচায় রাখতে হবে রসিদ, দাম বেশি নিলে ব্যবস্থা
ডাবের দাম কেন এত চড়া?
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় ডাবের দাম বেড়েছে। আগে মফস্বলে অনেক গৃহস্থের বাড়িতেই নারিকেল গাছ থাকতো। সেখান থেকে বিক্রেতারা পাইকারি দরে ডাব কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করতেন।
কিন্তু এখন অধিকাংশ বাড়িতেই নারিকেল গাছ উধাও। কাজেই সরবরাহ কমেছে ডাবের। এখন এর জোগানের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে মূলত গ্ৰামগুলোর ওপর।
আরও পড়ুন>> কলকাতায় ‘পানির দামে’ বিক্রি হচ্ছে গরু
ডাব বিক্রেতা অরুপ দত্ত জানান, প্রতিবছর এই সময় ডাবের চাহিদা একটু বেশিই থাকে। তার মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় এ বছর ডাবের চাহিদা চরমে পৌঁছেছে। অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার।
তিনি জানান, আমরা আগে পাইকারিতে যে ডাব ৪০ রুপিতে কিনতাম, সেগুলো এখন ৫৫ থেকে ৬০ রুপিতে কিনতে হচ্ছে। আর তা বিক্রি করতে হচ্ছে ৭০ রুপিতে। গত কয়েক সপ্তাহে ডাবের পাইকারি দাম প্রতি পিসে ১৫ থেকে ২০ রুপি করে বেড়েছে।
আরও পড়ুন>> গরমে রেকর্ড চাহিদা সত্ত্বেও লোডশেডিং নেই পশ্চিমবঙ্গে
ডিডি/কেএএ