পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন লাটভিয়ার প্রধানমন্ত্রী
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ইউরোপের দেশ লাটভিয়ার প্রধানমন্ত্রী ক্রিসজানিস কারিন্স। সোমবার (১৪ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে কারিন্স জানান, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) তিনি নিজের ও বর্তমান মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবেন। বর্তমান জোটের অংশীদাররা তার প্রস্তাবিত মন্ত্রিসভা রদবদলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করার পর এমন ঘোষণা দিলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে কারিন্স জানান, বর্তমান জোট সরকারের অংশীদার দলগুলোর মধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ কারণেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনায় প্রাথমিক ভোটে জয়ী হ্যাভিয়ার মিলেই
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, জোটের অংশীদাররা দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করছে। তাই আমার দল নিউ ইউনিটি পার্টিকে (এনইউপি) জানিয়ে দিয়েছি, বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছি। আমি আমার দলকে প্রধানমন্ত্রীত্বের জন্য নতুন কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানাই।
Šobrīd @Apvienotais_ un @VL_TBLNNK bloķē darbu labklājības celšanai un ekonomikas izaugsmei. Šodien informēju @Jauna_Vienotiba Saeimas frakciju un valdi, ka ceturtdien Valsts prezidentam iesniegšu demisijas rakstu. Esmu aicinājis #JV izvirzīt jaunu Ministru prezidenta kandidātu. pic.twitter.com/R0tdZlHRxN
— Krišjānis Kariņš (@krisjaniskarins) August 14, 2023
বুধবার (৯ আগস্ট) মন্ত্রীসভার তিনটি পদে পরিবর্তন আনান প্রস্তাব তোলেন কারিন্স। কিন্তু জোটের শরীক দলগুলো তার এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। এমনকি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অনুমোদনও আটকে রাখা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (১১ আগস্ট) কারিন্স জানিয়েছিলেন, বর্তমান জোটের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়া অথবা নতুন একটি জোট গঠন করার কথা ভাবতে হচ্ছে তাকে।
আরও পড়ুন: ক্ষেপণাস্ত্র বৃদ্ধিসহ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বললেন কিম
গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে কারিন্সের মধ্য-ডানপন্থী এনইউপি। ওই নির্বাচনে দেশটির ১০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৬টিতে জয় পায় তার দল। পরে সাতটি দলের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন করে এনইউপি।
এনইউপি লাটভিয়ার রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ও অন্যান্য ছোট দলগুলোর সমর্থনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ১৯ লাখ মানুষের ছোট্ট এই দেশটি শাসন করে আসছিল। কিন্তু গত মে মাসে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যৌথ প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর জোটের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয় কারিন্সের।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানি এড়াতে মেয়েদের ‘আবেদনময়ী আচরণ’ না করার পরামর্শ চীনে
এনইউপি আগামী বুধবার (১৬ আগস্ট) দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী বাছাই করতে পারে বলে জানা গেছে। লাটভিয়ার প্রেসিডেন্ট এডগারস রিংকেভিক্সের হাতে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে সরকার গঠনের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তবে প্রেসিডেন্টের বাছাই করা প্রার্থীকেও সংসদে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে। ২০২৬ সালে লাটভিয়ার পরবর্তী সংসদীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে, রয়টার্স
এসএএইচ