অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে মমতার প্রশ্ন, সরকারের কঠোর সমালোচনা
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর প্রথম জেলা সফরে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে পৌঁছে গিয়েছিলেন মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রামে।
বুধবার (৯ আগস্ট) ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে মমতা আবারও ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কেন কার্যকর করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
আদিবাসী সম্প্রদায়কে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করা হলে বিবাহের মতো বিষয়ও সবার জন্য অভিন্ন আইনে থাকবে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের জন্য তারা তাদের বিয়ের নিয়ম বদলাতে যাবেন কেন। কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল নীতির জন্য মাস কয়েক আগেই কুড়মি আন্দোলনে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল জঙ্গলমহল অঞ্চল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আরও বলেন, হঠাৎ করে বলছে ইউনিফর্ম সিভিল কোড করতে হবে। মানে ওদের নিয়মে বিয়ে করতে হবে। কেন করবেন। আপনাদের বিয়ের কি সুন্দর একটা সিস্টেম আছে। আপনাদের জাহের থান আছে। মাজেরথান আছে। আবার মুসলিম সম্প্রদায়ের বা হিন্দুদেরও বিয়ের একটা আলাদা পদ্ধতি আছে।
কড়া ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বার্তা দেন, ইউনিফর্ম সিভিল কোড করতে দেবো না। যেমন আছে সব তেমনিই থাকবে। সবাই নিজের স্বাধীন মতো পোশাক পরবে, চলাফেরা করবে,পড়াশোনা করবে।
এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ১০০ দিনের প্রকল্পে রাজ্যের বকেয়া ৭ হাজার কোটি রুপি দিচ্ছে না। কাজও বন্ধ করে দিয়েছে। যাতে এখানকার গরীব মানুষেরা ভাতে মারা যায়। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টির জানে না এখানে গরিব লোকেদের আমরা বিনামূল্যে চাল থেকে পাঠ্য বই সবই দিয়ে থাকি।
ভারতীয় জনতা পার্টি শাসিত রাজ্যে দলিতদের ওপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, আমি ভাষাগুলো বলতে চাই না। এনকাউন্টারে মারছে, মণিপুর জ্বলছে। জাতিদাঙ্গা লাগিয়ে ওরা ভাবছে দেশটাকে টুকরো টুকরো করে দেবে।
তৃণমূল প্রধান মমতা অভিযোগ করে বলেন, অনেকেই চান না জঙ্গলমহলে শান্তি বজায় থাকুক। আমি জঙ্গলমহলের মানুষদেরকে বলবো আপনারা সজাগ থাকবেন।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় জনতা পার্টি, জাতীয় কংগ্রেস ও সিপিএমকে জগাই-মাধাই-গদাই বলে সম্বোধন করেন।
ডিডি/এমএসএম