ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘের তদন্ত

‘আরও তীব্র’ হয়ে উঠেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:৩৪ পিএম, ০৮ আগস্ট ২০২৩

মিয়ানমারে সাধারণ মানুষের ওপর সামরিক বাহিনীর যুদ্ধপরাধগুলো আরও ‘নিয়মিত ও নির্লজ্জ’ হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই ভয়াবহ তথ্য। খবর রয়টার্সের।

ইন্ডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমারের (আইআইএমএম) তদন্তকারীরা ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত মিয়ানমারে সংঘঠিত যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্ত করেন। তাদের তদন্তের ফলাফল মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) প্রকাশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>> অভ্যুত্থানের পর থেকে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনেছে মিয়ানমার

এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং এর সহযোগী মিলিশিয়ারা ক্রমবর্ধমান ও নির্লজ্জভাবে তিন ধরনের যুদ্ধ-সম্পর্কিত যুদ্ধাপরাধ করে চলেছে। এ বিষয়ে শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচারে বোমা হামলার নিশানা বানানো এবং বেসামরিক বাড়িঘর ও ভবন পুড়িয়ে ফেলা। এর ফলে অনেক সময় পুরো গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন>> মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর হামলায় শতাধিক নিহতের শঙ্কা

সামরিক বাহিনীর অভিযান চলাকালে আটক বেসামরিক লোক বা যোদ্ধাদের হত্যার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

আইআইএমএমের প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান বলেছেন, আমাদের প্রমাণগুলো মিয়ানমারে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের নাটকীয় বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করে। সেখানে বেসামরিক লোকদের ওপর ব্যাপক ও পদ্ধতিগত আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা এমন একটি কেস ফাইল তৈরি করছি, যা অপরাধীদের দায়ী করার জন্য আদালতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন>> দেশে ফিরতে চাওয়া ২৩ রোহিঙ্গার খাবার বন্ধ

দুই বছর আগে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকেই অরাজকতায় ডুবে রয়েছে মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বিরোধীদের ওপর রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে জান্তা সরকার। তবে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে গণতন্ত্রকামীরা।

জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে মিয়ানমার জান্তার পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অতীতে এ ধরনের নৃশংসতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা।

কেএএ/