উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের শিকার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাতা কোম্পানি
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার একদল উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন হ্যাকার গোপনে রাশিয়ার একটি শীর্ষ ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাতা কোম্পানির কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হ্যাক করেছে। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা গবেষকরা বলছেন, অন্তত পাঁচ মাস ধরে এ মিশন চালিয়েছে হ্যাকাররা।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, কিম জং উন প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত দুটি হ্যাকার দল মস্কোর কাছাকাছি ছোট্ট শহর রিউকোভে অবস্থিত রকেট ডিজাইন ব্যুরো ‘এনপিও ম্যাশিনোসস্ট্রোয়েনিয়া’র সিস্টেম হ্যাক করেছে। নিরাপত্তা গবেষকদের বিশ্লেষণ ও রয়টার্সের পর্যালোচনায় এর স্বপক্ষে কিছু প্রাযুক্তিক তথ্য-প্রমাণও মিলেছে। এসব তথ্য-প্রমাণ অনুযায়ী, হ্যাকিংয়ের এ মিশন শুরু হয় ২০২১ সালের শেষ দিকে ও তা চলেছে ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত।
রয়টার্সের পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, ওই হ্যাকারদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া সরকারের সম্পর্ক রয়েছে। নিরাপত্তা গবেষকরা বলছেন, হ্যাকাদের যে দুটি দল এ সাইবার আক্রমণ করেছে তাদের না স্কারক্রাফট ও ল্যাজারাস। তবে হ্যাকিংয়ের সময় কোনো তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে কি না কিংবা কী কী তথ্য দেখা হয়ে হয়েছে তা বলতে পারেনি রয়টার্স।
তবে হ্যাকিংয়ের ওই ঘটনার পরের কয়েকমাসে উত্তর কোরিয়া ঘোষণা দেয়, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে তাদের ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। যদিও এ সাইবার আক্রমণের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি উন্নয়নের কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা পরিষ্কার নয়।
নিরাপত্তা গবেষকরা বলছেন, এ ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিকৌশল হাতিয়ে নেওয়ার জন্য রাশিয়ার মতো মিত্রদেশেও সাইবার হামলা চালাতে পারে।
এদিকে, হ্যাকিংয়ের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্স এনপিও ম্যাশিনোসস্ট্রোয়েনিয়া’র সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও প্রতিষ্ঠানটি কোনো সাড়া দেয়নি। ওয়াশিংটনের রুশ দূতাবাসও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তাছাড়া নিউ ইয়র্কে উত্তর কোরিয়ার জাতিসংঘ মিশনও এখন পর্যন্ত চুপচাপ রয়েছে।
গত ২৬ জুলাই পিয়ংইয়ংয়ের ৭০ বছরপূর্তি উৎসব উদযাপনে অংশ নিতে উত্তর কোরিয়া যান রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। সেসময়ই এই হ্যাকিংয়ের বিষয়টি সামনে আসে।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ