ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

সবচেয়ে বেশি গরমের মুখে দক্ষিণ এশিয়ার শিশুরা: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:০০ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২৩

বিশ্বের মধ্যে উচ্চ তাপমাত্রায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে দক্ষিণ এশিয়ার শিশুরা। এ অঞ্চলের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ শিশু বিপজ্জনকভাবে উচ্চ তাপমাত্রার শিকার বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের শিশু সংস্থা সোমবার (৭ জুলাই) বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৪৬ কোটি বা ৭৬ শতাংশ শিশু চরম তাপমাত্রার মুখে রয়েছে। বৈশ্বিকভাবে এ ধরনের ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের অনুপাত এক-তৃতীয়াংশ।

আরও পড়ুন>> গলে যাচ্ছে হিমালয়ের বরফ, ঝুঁকিতে বাংলাদেশসহ এশিয়ার ২০০ কোটি মানুষ

ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক সঞ্জয় বিজেসেকেরা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ছে। তবে তথ্য-উপাত্ত বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় কোটি কোটি শিশুর জীবন ও সুস্থতা তাপপ্রবাহ এবং উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ক্রমবর্ধমানভাবে হুমকির সম্মুখীন।

জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান ও মালদ্বীপের শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ‘অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে। এক বছরে ৮৩ বা তার চেয়ে বেশি দিন ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেশি তাপমাত্রা থাকাকে চরম উচ্চ তাপমাত্রা হিসেবে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন>> ২০৫০ সালের মধ্যে অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে ঘরের বাইরে কাজ করা

শিশুরা সাধারণত তাপমাত্রা পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে বা শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপ বের করে দিতে সক্ষম হয় না।

jagonews24

বিজেসেকেরা বলেন, ছোট ছোট শিশুরা তাপ সহ্য করতে পারে না। এ বিষয়ে আমরা যদি এখনই কাজ শুরু না করি, তাহলে এই শিশুদের আগামী বছরগুলোতে আরও ঘন ঘন এবং আরও তীব্র তাপপ্রবাহের ধাক্কা সহ্য করতে হবে।

আরও পড়ুন>> পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ দিনের নতুন রেকর্ড

জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানোর ফলে ১৮০০-এর দশকের শেষের দিক থেকে প্রায় ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৈশ্বিক উষ্ণতা তাপপ্রবাহগুলোকে আরও উত্তপ্ত, দীর্ঘতর এবং নিয়মিত করে তুলেছে। সেইসঙ্গে ঝড় ও বন্যার মতো বিরূপ আবহাওয়াগুলো হয়ে উঠেছে আরও তীব্র।

গত জুলাই ছিল বিশ্বের ইতিহাসে রেকর্ড করা সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে ইউরোপ, এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকার কোটি কোটি মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।

আরও পড়ুন>> চীনে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা পৌঁছালো ৫২ ডিগ্রিতে

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বের তাপ ও কার্বন নিঃসরণে সৃষ্ট অন্যান্য প্রভাবগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে এবং ভবিষ্যতে আরও খারাপ পরিস্থিতি এড়াতে কার্বন দূষণকে এই দশকেই নাটকীয়ভাবে কমিয়ে আনতে হবে। নাহলে বিপদ কেবল বাড়তেই থাকবে।

সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি
কেএএ/