৩০ গ্রাম হেরোইন পাচার, নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
৩০ গ্রাম হেরোইন পাচারের দায়ে সিঙ্গাপুরে এক নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটিতে গত ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলো। খবর আল-জাজিরার।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ওই নারীর নাম সারিদেউই জামানি (৪৫)। শুক্রবার (২৮ জুলাই) তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।
আরও পড়ুন>ব্রিকসের সম্প্রসারণ চায় চীন, ভারত-ব্রাজিলের আপত্তি
এর আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ৩০ গ্রাম হেরোইন পাচারের অভিযোগে জামানিকে ২০১৮ সালে দোষীসাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। বিশ্বের যে কয়টি দেশে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর আইন জারি রয়েছে সিঙ্গাপুর তার মধ্যে অন্যতম। দেশটিতে ১৫ গ্রামের বেশি হেরোইন ও ৫০০ গ্রামের বেশি গাঁজা বহন করলেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা হতে পারে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিচারকার্য চলার সময় জামানি জানিয়েছিলেন, পাচার নয় বরং ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য হেরোইন মজুত করেছিলেন তিনি। জামানির মামলারে বিষয়ে কথা বলতে বিবিসি সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল নারকোটিক্স ব্যুরোর (সিএনবি) অর্থাৎ মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও, এ সিএনবি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
মাদক মামলায় সিঙ্গাপুরে তিন দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে চলা দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন জামানি। এর আগে বুধবার মো. আজিজ বিন হুসাইন নামের আরেক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আজিজের বিরুদ্ধে ৫০ গ্রাম হেরোইন পাচারের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়।
আরও পড়ুন>বাংলাদেশের কারণে পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে: মমতা
২০২২ সালের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে মাদক মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়া ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।
গত এপ্রিলে তাঙ্গারাজু সুপিয়াহ নামে দেশটির আরেক নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। এক কেজি গাঁজা পাচারের অভিযোগে ওই ব্যক্তি দোষীসাব্যস্ত হয়েছিলেন।
অথচ সুপিয়াহ ও তার আইনজীবীর দাবি ছিল, ওই গাঁজা তিনি ছুঁয়েও দেখেননি। সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ আদালতে বলেছিল, তাঙ্গারাজু মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গাঁজা বিক্রিতে সহযোগিতা করেছিলেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, সম্প্রতি মাদকের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া শীর্ষ চার দেশের একটি সিঙ্গাপুর। অন্য তিনটি দেশ হলো চীন, ইরান ও সৌদি আরব।
এমএসএম