ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ভারতীয় বিশেষজ্ঞের হুঁশিয়ারি

ডেঙ্গুর নতুন ধরনে আক্রান্ত হলে অবস্থা হতে পারে গুরুতর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:১৩ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৩

বাংলাদেশের মতো ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলেও এ বছর বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। পশ্চিমবঙ্গে এরই মধ্যে অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। হরিয়ানায় ছড়াচ্ছে হু হু করে। দিল্লিতেও পাঁচ বছরের বিরতি দিয়ে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার পথে মশাবাহিত এই রোগ। এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুর নতুন কোনো ধরনে আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে, চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত দিল্লিতে মোট ১৮৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ২০১৮ সালে একই সময়ে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন ৪৯ জন, ২০১৯ সালে ৩৪ জন, ২০২০ সালে ২০ জন এবং ২০২২ সালে ১৫৯ জন। সবচেয়ে বেশি ২০২১ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯ হাজার ৬১৩ জন।

অবশ্য ভারতে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার কয়েক বছর ধরেই বেশ কম। তবে যেকোনো সময় পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ার ঝুঁকি উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলেছেন, অতীতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, এমন ব্যক্তিরা দ্বিতীয়বার এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। এক্ষেত্রে ডেঙ্গুর নতুন কোনো ধরন রোগীকে আক্রমণ করে গুরুতর উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।

ভারতের আইএমএস ভুবনেশ্বরের পরিচালক ডা. আশুতোষ বিশ্বাস বলেন, শরীরে যদি নতুন কোনো ধরন (স্ট্রেইন) আক্রমণ করে, তাহলে গুরুতর উপসর্গ তৈরি করতে পারে। একে অ্যান্টিবডিনির্ভর বর্ধন বলা হয় । তবে একই ধরন একই ব্যক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার আশঙ্কা কম।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু কোনো সংক্রামক বা বায়ুবাহিত রোগ নয়। এটি এড়ানোর সর্বোত্তম উপায় হলো আশপাশের এলাকা পরিষ্কার এবং জলাবদ্ধতামুক্ত রাখা।

এই বছর দিল্লিতে মশাবাহিত রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা বেশি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বন্যার পানি কমে গেলেও নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় তা জমা থাকতে পারে এবং মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তারা।

মশাবাহিত রোগের বিস্তার ঠেকাতে এরই মধ্যে নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে দিল্লি সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ স্থানীয় নাগরিক সংস্থা, শিক্ষা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নজরদারির জন্য ড্রোন মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। মশার কামড় এড়াতে আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ফুলহাতা পোশাক পরে স্কুল-কলেজে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কেএএ/জিকেএস