ইউক্রেনকে দেওয়া অস্ত্র-সরঞ্জাম নিয়মিত চুরি হচ্ছে: পেন্টাগন
ইউক্রেনে পাঠানো মার্কিন ও ইউরোপীয় অস্ত্রসহ সামরিক উপকরণের কিছু অংশ নিয়মিত চুরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর পেন্টাগন। শুক্রবার (২১ জুলাই) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
‘ইভ্যালুয়েশন অব ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্সেস (প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়) অ্যাকাউন্টিবিলিটি অব ইকিউপমেন্ট প্রোভাইডেড টু ইউক্রেন’ নামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের জুনে মার্কিন একটি অস্ত্রের চালান থেকে বেশ কয়েকটি গ্রেনেড লাঞ্চার, মেশিন গান ও এক হাজারেরও বেশি রাউন্ড গোলাবারুদ চুরি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনীতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যোগ দেওয়া একদল যোদ্ধা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে শাখা খুলতে চায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক
একই মাসে ইউক্রেনীয় অপরাধীদের আরেকটি চক্র বেশকিছু বুলেটপ্রুফ ভেস্ট চুরি করেছে, যেগুলোর সম্মিলিত দাম অন্তত ১৭ হাজার ডলার। এই ভেস্টগুলো কিয়েভেকে পাঠিয়েছিল তার ইউরোপীয় মিত্ররা।
পেন্টাগনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ এর আগস্টে ইউক্রেনীয় বাহিনীতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যোগ দেওয়া একটি দলের সদস্যরা অন্তত ৬০টি রাইফেল ও প্রায় এক হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ চুরি করে বাহিনী থেকে পালিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ।
ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়া ও তা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কমিটি ইউএস অফিস অব ডিফেন্স কো-অপারেশনের সদস্যরা জানিয়েছেন, যুদ্ধের শুরু থেকেই সহায়তা হিসেবে পাঠানো সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের কোনো হিসাব তারা মেলাতে পারছেন না। প্রত্যেক চালান থেকেই কিছু না কিছু অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কার্যকরভাবে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে ইউক্রেন: যুক্তরাষ্ট্র
কারা চুরি করছে, সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত স্পষ্টভাবে কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি কোনো পক্ষই। ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন ডিফেন্স কো-অপারেশনের সদস্যরা। কিন্তু কোনো ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি।
মার্কিন কর্মকর্তাদের ধারণা, ইউক্রেনের কিছু অসাধু সরকারি ও সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধী গ্রুপ, স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধা ও অস্ত্রের চোরা কারবারিরা এসব চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার সামরিক মহড়া
গত বছরের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর সাত মাসের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করে পেন্টাগন। ওই বছরের অক্টোবরেই প্রতিবেদন তৈরির কাজ শেষ হলেও, তা প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে প্রচলিত তথ্য অধিকার আইন ‘ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যাক্টে’র আওতায় আবেদন করার পর শুক্রবার (২১ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও মিলিটারি ডটকমে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
সূত্র: সিএনএন, আরটি
এসএএইচ