ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

প্লেনে চড়েই অফিস-বাজার-ঘোরাফেরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:৫৪ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৩

তীব্র জানজট এখন শহুরে জীবনের দৈনন্দিন সঙ্গী। বাস, প্রাইভেট কার কিংবা মোটর সাইকেল হোক না কেন প্লেন আর নৌযান ছাড়া সব যানবহনকেই এ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই, অনেকেরই হয়তো খায়েশ জাগে, যদি প্লেনে করে সব জায়গায় যেতে পারতাম! আর অনেকের কাছে অসম্ভব এ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বিশেষ এক গ্রামের বাসিন্দারা।

গ্রামটিতে ঢুকলেই দেখবেন, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে সারি সারি প্লেন। সেগুলি কোনো সংস্থার বা সরকারের নয়। ওখানে যারা বসবাস করেন, সবই তাদের নিজস্ব। এখানকার বাসিন্দারা কর্মস্থলসহ বাজার করতে কিংবা বেড়াতে যান প্লেনে চড়ে।

ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যামেরন এয়ারপার্ক নামের ওই এলাকায় গেলেই এমন দৃশ্য চোখে পড়বে। জায়গাটি পুরোপুরি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। অনুমতি ছাড়া এখানে বাইরের কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। ওখানকার কেউ বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ করলে তবেই প্রবেশ করা যায়।

jagonews24

এমন যাতায়াত ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি বড় ইতিহাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু জায়গায় এয়ারফিল্ড তৈরি করা হয়েছিল, পরে যেগুলোকে অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই জায়গাগুলোকে পরবর্তী সময়ে রেসিডেন্সিয়াল এয়ার পার্কে পরিণত করা হয়। ক্যামেরন এয়ারপার্ক তেমনই একটি জায়গা। অবসরপ্রাপ্ত মিলিটারি পাইলটদের জন্যই তৈরি করা হয়েছিল ওই এয়ারপার্ক। পরে ধীরে ধীরে পাইলটদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

১৯৬৩ সালে গড়ে ওঠা এই এয়ারপার্কের বর্তমান বাসিন্দা মাত্র ১২৪ জন। তাদের সবারই প্লেন ও হ্যাঙ্গার (যে জায়গায় প্লেন রাখা হয়) রয়েছে।‌ এমনকি, সেখানকার রাস্তাও ১০০ ফিট চওড়া, যাতে প্লেনগুলো কোনো বাধা ছাড়াই উড়তে পারে ও সহজেই বাড়ির সামনে নামতে পারে। এখানকার প্লেনগুলো বিমানবন্দরে অবতরণেরও অনুমতি পায়।

 
 
 
View this post on Instagram

A post shared by The Soul Family (@theofficialsoulfamily)

ক্যামেরন এয়ারপার্কের মতো আরেকটি আরেকটি জায়গা হলো স্প্রুস ক্রিক। এই এয়ারপার্কের বাসিন্দা ৫ হাজার জন। রয়েছে তেরোশ বাড়ি ও সাতশো হ্যাঙ্গার।

সূত্র: ট্রাভেল প্লাস লেইজার

এসএএইচ