ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ইরানে ৬৬ ডিগ্রিরও বেশি তাপমাত্রা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:৫৮ এএম, ১৮ জুলাই ২০২৩

ইরানে ৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশটির দৈনিক তাপমাত্রার রেকর্ডে সর্বোচ্চ। সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ বুশেহেরের আসালুয়েহ জেলার পার্সিয়ান গালফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জলবায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউএস স্টর্মওয়াচের কর্মকর্তা কলিন ম্যাকার্থি এক টুইট বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ম্যাকার্থি বলেন, সোমবার দুপুরে পার্সিয়ান গালফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার তাপমাত্রা ছিল ৬৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৫২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) মানুষ, উদ্ভিদ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য এ পরিমাণ তাপমাত্রা অসহনীয়।

ইরানে এখন গ্রীষ্মকাল। হিট ইনডেক্সের তথ্যানুসারে, অভ্যন্তরীণ ভূভাগের তাপমাত্রা ও পারস্য উপসাগর থেকে বয়ে আসা অতি উষ্ণ জলীয় বাষ্পের কারণে দেশটির তাপমাত্রা বেড়েছে। তবে শুধু ইরান নয়, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ইউরোপ ও আফ্রিকার বেশকিছু অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত দেশগুলোর অবস্থা বেশি খারাপ।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ডের সংবাদ শোনা যাচ্ছে। আবহবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো আরও ঘনীভূত হওয়ায় অ্যাটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের জলের তাপমাত্রা বাড়ছে।

মার্কিন ও ইউরোপীয় জলবায়ুবিদদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ সম্প্রতি এক প্রতিবেদেন জানিয়েছে, চলতি মাসেই বিশ্বের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর হতে যাচ্ছে ২০২৩। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিশ্বে সর্বোচ্চ উষ্ণ যেসব দিনের অতীত রেকর্ড রয়েছে সেসবের মধ্যে এ বছর অন্তত ১০টি দিনের রেকর্ড ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আন্তর্জাতিক টিকা সহায়তা জোট গ্যাভির মতে, দাবদাহের সময় কোনো ব্যক্তি যদি পর্যাপ্ত পানি পান না করেন, তাহলে ঘাম ও মূত্রের ফলে তার শরীর পানিশূন্য হয়ে যায়। সেই সঙ্গে দীর্ঘ সময় পানি পান থেকে বিরত থাকলে রক্তে জলীয়ভাব কমে যায়। তাছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান না করলে রক্ত ভারী হয়ে ওঠা, জমাট বেঁধে যাওয়াসহ স্ট্রোক করে মৃত্যু হতে পারে।

প্রকৃতিতে কার্বন ডাই অক্সাইডসহ অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের ব্যাপক নিঃসরণ, অতিমাত্রায় জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, বনজঙ্গল ধ্বংস করা এবং শিল্প কারখানার পরিমাণ দিন দিন বাড়তে থাকায় ক্রমশ অস্বাভাবিক উষ্ণ হয়ে উঠছে পৃথিবী। বিশেজ্ঞরা বলছেন, এমন হতে থাকলে খুব শিগগির চরম সংকটে পড়বে গোটা মানবসভ্যতা।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ