ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

পাঁচজন অতিথি বেশি আসায় বৌভাতের অনুষ্ঠান লন্ডভন্ড

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০৯:৫৮ এএম, ১৮ জুলাই ২০২৩

বিয়ে বাড়িতে প্রায় বরপক্ষ এবং কনেপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির খবর শোনা যায়। আবার কোনো কোনো জায়গায় দেখা যায় বরপক্ষ বা কনেপক্ষ থেকে আসা অতিথির সংখ্যা বেশি হলে বা খাবার বেশি খেয়ে ফেললে তা নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার দুবরাজপুরেও এ ধরনের ঘটনার সাক্ষী হলো স্থানীয়রা।

মাত্র পাঁচজন অতিথি বেশি আসায় বউভাতের অনুষ্ঠানে এত বড় অশান্তি শুরু হবে তা কেউ ভাবতেও পারেনি। পাঁচজন অতিথি বেশি আসায় বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ কনেপক্ষের। এই গন্ডগোলের মাঝখানে পড়ে নতুন বউও হাশলার শিকার হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। কনের ভাইয়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বর-সহ গ্ৰেফতার হয়েছেন বরপক্ষের চারজন।

আরও পড়ুন: পোল্যান্ডে প্লেন বিধ্বস্ত, নিহত ৫

জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমুলডিহি গ্ৰামের সুরিয়া খাতুনের সঙ্গে সদাইপুর থানার অন্তর্গত কুলসুমা গ্রামের শেখ আতিকুলের পরিবারের লোকজন দেখাশোনা করেই তাদের বিয়ে দেন।

স্বাভাবিকভাবেই বিয়ের পরের দিন ছিল বৌভাত। এ উপলক্ষে কনেপক্ষ থেকে ৩০ জন অতিথি আসেন ওই বৌভাতের অনুষ্ঠানে। কিন্তু বরপক্ষ আগে বলে রেখে ছিল ২৫ জনের বেশি অতিথি তারা আপ্যায়ন করতে পারবেন না। মাত্র পাঁচজন অতিথি বেশি হওয়ায় মাথা গরম হয়ে যায় বরপক্ষের।

jagonews24.com

অতিথি কেনো বেশি এসেছে তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। শেষমেশ হাতাহাতি ও বাঁশ দিয়ে মারধরের মতো ঘটনাও ঘটেছে। নিজের এলাকায় পেয়ে বরপক্ষ কনেপক্ষের ওপর ইচ্ছামতো সহিংসতা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বরপক্ষ এবং কনেপক্ষের এমন হাতাহাতিতে নববধূসহ মোট ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের বীরভূম জেলার সিউড়ি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রেই চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: রাশিয়া শস্য চুক্তি থেকে সরে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে লাখ লাখ মানুষ

গন্ডগোলের খবর যায় সদাইপুর থানায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে কনের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বর-সহ চারজনকে গ্রেফতার করে। নববধূ সুরিয়া খাতুনের বলেন, মাত্র পাঁচজন লোক বেশি হয়েছিল বলে বাঁশ দিয়ে আমার দাদা, বৌদি ও বোনকে মেরে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বিয়ের শুরুতেই ছেলের পরিবারের লোকজন এত মারলো। দুদিন পর আমাকে মেরে রেখে দিলে কি হবে? এখনোতো বাকি জীবন পরে আছে। তিনি বলেন, আমি ডিভোর্স চাইবো।

ডিডি/টিটিএন