ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ওয়াগনার বাহিনীর অস্তিত্ব নেই: পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:৩৯ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২৩

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ওয়াগনার বাহিনীর কোনো অস্তিত্ব নেই। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাতে কোমারসান্ট নামে এক সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেনি তিনি।

পুতিন বলেন, দেশে বেসরকারি সামরিক সংস্থার কোনো আইন নেই। সুতরাং ওয়াগনার গ্রুপেরও কোনো অস্তিত্ব নেই। তিনি এও জানান, গত মাসে ওয়াগনার বিদ্রোহের কয়েকদিন পরই প্রায় তিন ডজন ওয়াগনার যোদ্ধা ও তাদের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

সেসময় ওয়াগনারকে রাশিয়ায় কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি ইউক্রেনে আগের সেই কমান্ডারের অধীনেই লড়াই করার প্রস্তাব দেন পুতিন। কিন্তু ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: রাশিয়ার হুমকি সত্ত্বেও মার্কিন ক্লাস্টার বোমা হাতে পেল ইউক্রেন

পুতিন বলেন, উপস্থিত যোদ্ধাদের অনেকেই অনেকেই আমার কথায় সায় দিয়েছিলেন। তবে প্রিগোজিন রাজি হননি। আমার কথার জবাবে প্রিগোজিন বলেন, ‘না, যোদ্ধারা এ সিদ্ধান্তে একমত হবে না।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বরাতে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৯ জুন। তবে তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকটি কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাননি ক্রেমলিন মুখপাত্র। তবে বৈঠকে ওয়াগনারের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে জানিয়েছে, ওয়াগনার বাহিনী তাদের কাছে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে। বুধবার (১২ জুলাই) এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ট্যাংক, মোবাইল রকেট লঞ্চার ও অন্যান্য ভারী অস্ত্রসহ দুই হাজার টনের বেশি সামরিক সরঞ্জাম ইতোমধ্যে হস্তান্তর করেছে ওয়াগনার বাহিনী।

আরও পড়ুন: চাকাবিহীন সাইকেল বানিয়ে তাক লাগালেন যুবক

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে রণক্ষেত্রে বেশ উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিল ওয়াগনার। বাখমুতসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দখলে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করেছে ওয়াগনার। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়ার বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করেন প্রিগোজিন। পরে তারই ধারাবাহিকতায় ২৩ জুন বিদ্রোহ ঘোষণা করে ওয়াগনার।

পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় নাটকীয়ভাবে প্রিগোজিন বিদ্রোহ বন্ধ করতে সম্মত হন। সে সময় শর্ত ছিল ওয়াগনার প্রধান ও তার বাহিনীর যেসব সদস্য চাইবে তারা বেলারুশে চলে যেতে পারবেন। তবে অধিকাংশ সেনাই রাশিয়ায় থেকে যাওয়াকেই বেছে নেন।

এদিকে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে খোঁজ নেই রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার প্রধানের। বেলারুশে যাওয়ার কথা থাকলেও বেলারুশ প্রেসিডেন্টের দাবি, এখনও রাশিয়াতেই রয়েছেন ওয়াগনার প্রধান। এ অবস্থায় প্রিগোজিনের অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। অনেকে সন্দেহ করছেন তাকে গুম করে ফেলেছে রুশ কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: মোগল আমলের স্মৃতি ফেরালো ক্রুদ্ধ যমুনা

পুতিন কখনোই তার বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করেন না বলে প্রচলিত আছে রাশিয়ার রাজনীতিতে। এতে ওয়াগনারের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। তবে প্রিগোজিন রাশিয়ায় আছেন কিনা সে বিষয়ে একেবারেই নিশ্চুপ রুশ প্রশাসন।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এসএএইচ