চাঁদে পাড়ি দিচ্ছে ভারতের চন্দ্রযান-৩
চাঁদে পাড়ি দিতে যাচ্ছে ভারতের একটি চন্দ্রযান। শুক্রবার দুপুরেই চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান-৩। ইতোমধ্যেই কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। শুক্রবার দুপুর (১৪ জুলাই) ২টা ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের লঞ্চিংপ্যাড থেকে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হবে। পুরো ভারতের নজর এখন সেখানেই।
আরও পড়ুন: বিয়ের জন্য পাত্র চান এই নারী, খুঁজে দিলেই ৫ হাজার ডলার পুরস্কার
ইসরোর এই চন্দ্রযাত্রার কেন্দ্রে রয়েছে এলভিএম-৩ রকেট। যা চন্দ্রযানটিকে শক্তি জোগাবে এবং পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে ঠেলে দেবে। এলভিএম-৩ হল একটি ত্রিস্তরীয় উৎক্ষেপণ যান। এর আগে একাধিক কৃত্রিম উপগ্রহ এবং চন্দ্রযাত্রায় এই এলভিএম-৩ ব্যবহৃত হয়েছে।
একে ভারতীয় রকেটের ‘বাহুবলী’ বলা হয়। এর মধ্যে দুটি স্তরে কঠিন জ্বালানি এবং একটি স্তরে তরল জ্বালানি রয়েছে। কঠিন জ্বালানি ১২৭ সেকেন্ড ধরে জ্বলে। উৎক্ষেপণের ১০৮ সেকেন্ডের মধ্যে জ্বলতে শুরু করে তরল জ্বালানি যা ২০৩ সেকেন্ড ধরে রকেটটি পরিচালনা করবে।
এর আগে ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে চাঁদের পিঠে নামাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরোর চন্দ্রযান-২। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে চাঁদের মাটি ছোঁয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে এই ভারতীয় সংস্থা। তবে আগের অভিযানে পাঠানো অরবিটারটি এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে।
আরও পড়ুন: মেয়ের সামনে বাবাকে গুলি করে খুন
এবারের অভিযানে ইসরো আর কোনো অরবিটার চাঁদের কক্ষপথে পাঠাবে না বলে জানানো হয়েছে। চাঁদের মাটিতে নামতে কক্ষপথে থাকা চন্দ্রযান-২ এর অরবিটারের সাহায্য নেবে এবার চন্দ্রযান-৩ এর সঙ্গে যাওয়া ল্যান্ডার এবং এর ভেতরে থাকা রোভার। চাঁদের মাটিতে নেমে দুসপ্তাহ ইসরোর গবেষণা চলবে। এতে ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এবং নাসার সাহায্যও নেওয়া হবে।
টিটিএন