১৭ সেকেন্ডে এক বোতল বিয়ার শেষ, সমালোচনার মুখে ম্যাক্রোঁ
ফ্রান্সের ঘরোয়া রাগবি লিগের চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যদের সঙ্গে মাত্র ১৭ সেকেন্ডে এক বোতল বিয়ার পান করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ। শনিবার (১৭ জুন) ড্রেসিংরুমে শিরোপাজয়ী ওই দলের সঙ্গে আনন্দ উদযাপনে অংশ নিয়ে এমন কাণ্ড ঘটান তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শনিবার দেশটির রাজধানী প্যারিসের স্ট্যাডে ডি ফ্রান্স স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হয়। ম্যাচে লা রোশেলকে হারিয়ে শিরোপা জয় করে টুলুস। ম্যাচটি ভিআইপি গ্যালারিতে বসে উপভোগ করেন ম্যাক্রোঁ।
Macron drank a bottle of beer in one gulp after the victory of "Toulouse" in the French Rugby Championship pic.twitter.com/VLL9BQJB6j
— Andrii (@Andrii2603) June 18, 2023
আরও পড়ুন: অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি জাতিসংঘের আহ্বান
ম্যাচ শেষে চ্যাম্পিয়ন দল টুলুসের ড্রেসিংরুমে হাজির হন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। সেখানেই টুলুস রাগবি দলের সদস্যদের সঙ্গে শিরোপা জয়ের আনন্দ উদ্যাপনে অংশ নেন তিনি। ওই সময়েরই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ও ফ্রান্সের টেলিভিশনেও প্রচারিত হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, ম্যাক্রোঁর হাতে একটি বিয়ারের বোতল। বোতলটি তুলে ধরে চিয়ার্স করেন তিনি। তারপর মাত্র ১৭ সেকেন্ডে বোতলের সব বিয়ার শেষ করে ফেলেন। তার এমন পারদর্শিতায় উল্লাস ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন টুলুস রাগবি দলের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দিল্লি ছাড়লেন মোদী
ম্যাক্রোঁ একজন ক্রীড়া অনুরাগী হিসেবে পরিচিত। ফরাসি ফুটবল দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ দেখতে তাকে বিশ্ব ভ্রমণ করতে দেখা গেছে। সুতরাং ফরাসি ক্রীড়া দলের ড্রেসিংরুমে যাওয়াটা তার জন্য নতুন কিছু নয়। তবে এভাবে বিয়ার পান করায় তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
দেশটির গ্রিনস পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) স্যান্ডরিন রুশো টুইট করে বলেছেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বে থাকা বিষাক্ত পৌরুষের উদাহরণ এই ভিডিও।
জবাবে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের এমপি জ্যঁ-রেনে ক্যাজেনিউভ বলেন, একজন প্রেসিডেন্ট ২৩ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে অংশ নিচ্ছেন, তাদের ঐতিহ্যে অংশ নিচ্ছেন, এটা এর বেশি কিছু নয়।
আরও পড়ুন: উড্ডয়নের আগমুহূর্তে পাইলট মাতাল, বাতিল হলো ফ্লাইট
ফরাসি দাতব্য সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অ্যাডিকশনস ফ্রান্সের বার্নার্ড বাসেট সোমবার (১৯ জুন) একটি গণমাধ্যমকে বলেন, সমাজে স্বাস্থ্যগত আচরণের উদাহরণ স্থাপনের ক্ষেত্রে একজন রোল মডেল হিসেবে প্রেসিডেন্টের দায়দায়িত্ব রয়েছে। তিনি প্রকাশ্যে এমন কোনো কাজ করতে পারেন না, যার বিরূপ প্রভাব সমাজে পড়তে পারে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এসএএইচ