গ্রিস উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকায় ছিল ১০০ শিশু
গ্রিসের দক্ষিণ উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহন করা যে নৌকাটি ডুবে গেছে তাতে একশ’র মতো শিশু ছিল বলে জানিয়েছে উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উদ্ধার করা হয়েছে শতাধিক। খবর বিবিসির।
গ্রিক কর্মকর্তা ও বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, নৌকায় আরও কয়েকশো মানুষ ছিল। কোনো কোনো রিপোর্টে বলা হচ্ছে, মাছ ধরার ওই নৌকাটিতে ৭৫০ জন ছিল। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখনো বহু নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন>গুজরাটে আঘাত হানতে শুরু করেছে ‘বিপর্যয়’
দেশটির সরকার বলছে, গ্রিসে সবচেয়ে বড় অভিবাসী ট্রাজেডিগুলোর একটি এটি। তাই তিনদিনের শোক ঘোষণা করেছে দেশটি।
গ্রিসের কোস্টগার্ড বলেছে, মঙ্গলবার দিনশেষে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌকাটি দেখা যায় ইইউ সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের একটি প্লেন থেকে।
আরও পড়ুন>বিশ্বে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম মানব ভ্রুণ তৈরির দাবি
নৌকাটিতে থাকা যাত্রীদের কেউই লাইফ জ্যাকেট পরা ছিল না ও কোস্টগার্ড বলছে, তারা কোনো সাহায্য নিতেও অস্বীকৃতি জানায়।
দেশটির নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে গ্রিসের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইআরটি জানিয়েছে, স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ নৌকাটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ও সাহায্যের প্রস্তাবও দিয়েছিল।
কিন্তু বারবার তারা জবাব দেয়, আমরা ইতালিতে যেতে চাই, এছাড়া আর কিছুই চাই ন।
এর কয়েকঘণ্টা পর স্থানীয় সময় রাত একটার দিকে নৌকা থেকে একজন গ্রিক কোস্টগার্ডকে বার্তা পাঠাতে থাকে, নৌকাটির ইঞ্জিন কাজ করছে না।
এর কিছুক্ষণ পরই নৌকাটি ডুবে যায়। মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে নৌকাটি পুরোপুরি ডুবে যায়।
প্রায় সঙ্গ সঙ্গেই অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছিল। তবে প্রবল বাতাসের কারণে উদ্ধারকাজ চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।
নৌকাটি লিবিয়া থেকে ইতালি যাচ্ছিল বলে খবর পাওয়া গেছে। যাত্রীদের বেশিরভাগেরই বয়স ছিল ২০ এর কোঠায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নৌকাটি বেশ কিছুদিন ধরেই সাগর পথে ভ্রমণ করছিল ও মঙ্গলবার বিকেলেই সেটিকে দেখা গেছে একটি মল্টিজ কার্গো জাহাজের কাছে, যে জাহাজটি খাবার ও পানি সরবরাহ করে।
নৌকাটিতে পাঁচশো থেকে সাতশোর মতো মানুষ ছিল বলে ধারণা দিচ্ছেন বেঁচে ফেরা ব্যক্তিরা। আরও মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা।
নৌকাটিতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পরিচয় এখনো জানা জানা যায়নি। জীবিত উদ্ধার হওয়াদের গ্রিসের কালামাতা শহরের একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ইয়োরগোস মিশাইলিদিস বিবিসির ওয়াল্ড টুনাইট প্রোগ্রামে বলেছেন, গ্রিস বরাবরই ইইউকে বলে আসছে একটি ‘কঠোর অভিবাসন নীতি’ প্রণয়ন করতে হবে।
যাদের সত্যিকার অর্থে অভিবাসন প্রয়োজন তাদের গ্রহণ করতে হবে, শুধুমাত্র অর্থ আছে এমন লোকদের নয়, যারা পাচারকারীদের অর্থ দিয়ে অভিবাসী হতে চায়।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং আফ্রিকা থেকে শরণার্থী ও অভিবাসীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের অন্যতম প্রধান পথ গ্রিস।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর এ পর্যন্ত ৭০ হাজারেরও বেশি শরণার্থী ও অভিবাসী ইউরোপের প্রথম সারির দেশগুলোতে প্রবেশ করেছে, যাদের বেশিরভাগই ইতালিতে প্রবেশ করেছে।
এমএসএম
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ যুক্তরাষ্ট্রে আদানির বিরুদ্ধে শক্তিশালী মামলা, কী করবে ভারত?
- ২ ফের মুক্তিযুদ্ধকে ‘ভারতের যুদ্ধ’ দাবি মোদীর, নিলেন না বাংলাদেশের নাম
- ৩ গোলান মালভূমিতে অবৈধ বসতি বাড়ানোর অনুমোদন ইসরায়েলের
- ৪ ফ্রান্সের মায়োত্তে অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব, কয়েকশ প্রাণহানির শঙ্কা
- ৫ আয়ারল্যান্ডে দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা ইসরায়েলের