৪০০ গাড়ির বহর নিয়ে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে, ভিডিও ভাইরাল
কনভয় বা গাড়ির বহর যত বড় ক্ষমতাও তত বেশি! ভারতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীদের নিরাপত্তার খাতিরে থাকে দীর্ঘ কনভয়। সামনে-পেছনে চলে অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ি। অন্য মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য-বিধায়করাও মাঝারি-ছোট কনভয় নিয়ে চলেন। তবে ক্ষেত্রে এবার সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন মধ্যপ্রদেশের দাপুটে নেতা বেইজনাথ সিং।
৪০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে ৩০০ কিমি পাড়ি দিয়ে ‘ঘরে’ ফিরলেন তিনি। ২০২০ সালে তৎকালীন বিদ্রোহী কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নেতৃত্ব কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বেইজনাথ। বুধবার (১৪ জুন) পুরোনো দলে ফিরলেন। তবে বিরাট কনভয় নিয়ে দানা বেধেছে বিতর্কও।
MP में BJP को झटका, सिंधिया के साथ भाजपा में शामिल हुए बैजनाथ यादव की कांग्रेस में वापसी
— CPभाई महाराज (@yogi_mahraj_) June 15, 2023
बैजनाथ 400 गाड़ियों के काफिले के साथ कांग्रेस दफ़्तर पहुंचे
Baijnath Yadav | #BaijnathYadav | #MadhyaPradeshElection2023 pic.twitter.com/dWdqeoYui3
আরও পড়ুন>শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ফিলিপাইন
২০২০ সালে সিন্ধিয়া ও তার অনুগামীরা কংগ্রস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেয়। ক্ষমতা হারায় কমলনাথের নেতৃত্বাধিন কংগ্রেস সরকার। ফলে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি। এরপর কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রীর পদ পান সিন্ধিয়া।
যদিও এদিন সিন্ধিয়া অনুগামী বলে পরিচিত শিবপুরীর বাহুবলী নেতা বেইজনাথ কংগ্রেস ফিরে এলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিধানসভা ভোটে বিজেপি তাকে প্রার্থী করবে না, একথা জানতে পেরেই কংগ্রেসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন বেইজনাথ।
আরও পড়ুন>হত্যাকাণ্ডের খবর লাইভ সম্প্রচারের সময় পেছনে নারীর ড্যান্স
বুধবার দলীয় সভায় তাকে স্বাগত জানান কমলনাথ, দিগবিজয় সিংয়ের মতো রাজ্যের শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা। বেইজনাথের সঙ্গে তার অনুগামী ১৫ জন জেলা স্তরের নেতাও কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। যদিও সব কিছু ছাপিয়ে আলোচনার বিষয় এখন তাদের গাড়ির বহর।
শিবপুর থেকে ভোপালের দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার। ভোপালে দলীয় সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন বেইজনাথ ও তার অনুগামীরা। ৪০০ গাড়ির বহর নিয়ে সাইরেন বাজিয়ে ওই সভায় আসেন দাপুটে নেতা। অভিনব কনভয়ের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বহু মানুষ বড় এই কনভয়ের ভিডিও পোস্ট করেন। যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ক্ষমতা প্রদর্শনেই এই কৌশল, বলছেন দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এমএসএম