ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

তাইওয়ানের আকাশসীমায় ৩০টির বেশি চীনা যুদ্ধবিমান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ০৮ জুন ২০২৩

তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে চীনের ৩০টির বেশি যুদ্ধবিমান। প্রায় ছয় ঘণ্টার মধ্যেই একের পর এক যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ঢুকে পড়ে বলে জানিয়েছে দ্বীপটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের একটি অংশ দাবি করে আসছে।

প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে তাইওয়ানকে দখল করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বেইজিং। কিন্তু তাইওয়ান তাদের এমন দাবির পক্ষে একমত নয়। তারা নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেই দাবি করে। 

আরও পড়ুন>> রাস্তার গর্ত বন্ধ করায় লাখ টাকা জরিমানা!

সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের আকাশে চীনের যুদ্ধবিমানের প্রবেশের ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। প্রায়ই তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ঢুকে পড়ছে চীনের যুদ্ধবিমান। আগের বছরগুলোর তুলনায় গত বছর এই সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। এমনকি চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েক বার এই ঘটনা ঘটেছে।

তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সান লি-ফ্যাং বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় বলেন, স্থানীয় সময় ভোর ৫টা থেকে তাইওয়ানের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রায় ৩৭টি যুদ্ধবিমানের প্রবেশ ঘটেছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত ছিল বলেও জানান তিনি।

এক টুইট বার্তায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। টহল বিমান, নৌযান এবং ভূমি ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। তবে ওই সময়েও পরেও আর কোনও চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানে প্রবেশ করেছে কি না সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।

আরও পড়ুন>> হাত দিলেই উঠে আসছে সড়কের পিচ, ঠিকাদারের দাবি ‘জার্মান প্রযুক্তি’

বিশ্লেষকরা বলছেন, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীনের এমন কর্মকাণ্ড ‌‘গ্রে-জোন’ কৌশলের অংশ যা মূলত ওই দ্বীপটিকে চাপে রাখার জন্যই করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন এবং জাপান দক্ষিণ চীন সাগরে প্রথমবারের মতো যৌথ মহড়া শেষ করার একদিন পরেই এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।

তাইওয়ানের সঙ্গে অন্য কোনও দেশের কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়লেই চীনের সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমান এবং নৌ মহড়াও বেড়ে যায়। মূলত তাইওয়ান যেন চাপে থাকে সেকারণেই এমনটা করছে বেইজিং। অন্য কোনও দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা দেবে সেটা চায় না চীন।

টিটিএন