ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

অর্থপাচারে কি প্রভাবশালীরা জড়িত, উত্তর দিলেন না পি কে হালদার

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ০৭ জুন ২০২৩

বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত পি কে হালদারসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে মামলার শুনানি ফের পেছালো। আগামী ৪ জুলাই কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (ব্যাংকশাল) আবারও তোলা হবে তাদের।

বুধবার (৭ জুন) স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩’র বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে উঠেছিল মামলাটি। কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না একটি অ্যাডজর্নমেন্ট পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশনে মোকদ্দমার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। সেক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আর্জি শুনে বিচারক পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন ৪ জুলাই।

আরও পড়ুন>> কারাগারে হামলার শিকার পি কে হালদার

গত ১৮ ও ২২ এপ্রিলে সেলের বাইরে পি কে হালদারের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। দুটি ঘটনাতেই সামান্য আহত হন তিনি। তবে আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর পি কে হালদারকে প্রেসিডেন্সি কারাগারে যে সেলে রাখা হয়েছিল, সেটি পাল্টে অন্য সেলে রাখা হয়।

অবশ্য বুধবার আদালত প্রাঙ্গণে পি কে হালদারকে হাতে পানির বোতল ও লাল গেঞ্জি, নীল জিন্স প্যান্টে বেশ চনমনে দেখা গেছে। পুলিশের গাড়ি থেকে নামার সময় সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞেস করেন, এই অর্থপাচার কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশ বা ভারতের কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত কি না? কিন্তু তার কোনো উত্তর না দিয়ে মাথা নিচু করে সোজা ব্যাংকশাল কোর্টের লকআপে প্রবেশ করেন পি কে হালদার।

আরও পড়ুন>> পি কে হালদারের মামলায় ৯৯ জনের সাক্ষ্য শেষ

এদিন পি কে হালদারসহ পাঁচ পুরুষ আসামিকে একই প্রিজনভ্যান থেকে নামতে দেখা যায়। আর একমাত্র নারী অভিযুক্তকে আদালতে আনা হয় আলাদা প্রিজনভ্যানে।

বর্তমানে অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ পাঁচ পুরুষ আসামি রয়েছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে। অন্যদিকে, একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা নাগাদ সব আসামিকেই আদালতে তোলা হয়।

বহুল আলোচিত এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে খবর, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ, বোর্ড হাউস ১৫, গ্রিনটেক সিটি থেকে গ্রেফতার করা হয় পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে শিবশঙ্কর হালদারকে।

আরও পড়ুন>> পি কে হালদার আরও ১২ দিনের কারা হেফাজতে

এছাড়া রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারের পাঁচ সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার।

এরপর ওই বছরের ২১ মে অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২ অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

ডিডি/কেএএ/