ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

৫৪ বছর পর স্নাতক পাস করলেন ‘বিশ্বের ধীরতম শিক্ষার্থী’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৪২ পিএম, ২৮ মে ২০২৩

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পরে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করলেন আর্থার রস। গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া (ইউবিসি) থেকে ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ) ডিগ্রি পেয়েছেন ৭১ বছর বয়সী এ ব্যক্তি। আর এর জন্য তার সময় লেগেছে ৫৪ বছর। ফলে আর্থারই এখন বিশ্ববিদ্যালয় সনদ অর্জনে বিশ্বের ধীরতম শিক্ষার্থী।

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অবশ্য বর্তমানে সবচেয়ে দীর্ঘ নিয়ে স্নাতক পাস করা শিক্ষার্থী হিসেবে নাম রয়েছে রবার্ট এফপি ক্রোনিনের। তিনি ১৯৪৮ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে জীববিজ্ঞানে স্নাতক শুরু করেন এবং ২০০০ সালে পাস করেন। তবে তার চেয়েও দু’বছর বেশি সময় নিয়েছেন আর্থার।

আরও পড়ুন>> বিশ্বরেকর্ড: ৭৪ দিন পানির নিচে বসবাস

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্থার রস জানান, তিনি প্রথম ইউবিসিতে ভর্তি হন ১৯৬৯ সালে। কিন্তু পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছিলেন না। পরিবর্তে ক্যাম্পাসে থিয়েটার ক্লাবের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বুঝতে পারেন, অভিনয়ের প্রতি তার অন্য ধরনের এক আবেগ রয়েছে।

ইউবিসিতে মাত্র দুই বছর থাকার পর আর্থার কোর্স পরিবর্তন করে মন্ট্রিলে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং সেখানে ন্যাশনাল থিয়েটার স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। সেখানে আর্থার পড়াশোনা শেষ করেছিলেন এবং সনদও পান। কিন্তু শিগগির বুঝতে পারেন, তিনি অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান না।

আরও পড়ুন>> ১৪ দেশে ১০৫ বিয়ে করে বিশ্বরেকর্ড

আর্থার বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নেই, ঠিক আছে, আমার হয়তো আইনজীবী হওয়া উচিত।

jagonews24

এরপর আর্থার রস আবারও ইউবিসিতে ফিরে যান এবং আরও এক বছর পড়াশোনা করেন, যেন তিন বছরের কোর্স সম্পন্ন করার পর আইন স্কুলে ভর্তি হতে পারেন। তিনি টরন্টো ইউনিভার্সিটিতে আইন স্কুলে ভর্তি হন।

আরও পড়ুন>> ৪৬ ঘণ্টা ফোনে কথা বলে বিশ্বরেকর্ড

এরপর টানা ৩৫ বছর আইন পেশায় ছিলেন আর্থার। ২০১৬ সালে এই পেশা থেকে অবসর নেন তিনি। এরপর হঠাৎ মনে হয়, পাঁচ দশক আগে শুরু করা স্নাতক ডিগ্রি শেষ করা দরকার। সেই মোতাবেক ২০১৭ সালে ইতিহাসে পার্টটাইম শিক্ষার্থী হিসেবে আবার পড়াশোনা শুরু করেন। অবশেষে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্নও করেন।

অবশ্য রেকর্ড বইয়ে নাম লেখানোর আশায় এত দূর পড়াশোনা করেননি আর্থার রস। তিনি বলেন, বিশ্বরেকর্ড গড়ার কোনো তাড়া ছিল না। প্রকৃত পুরস্কার হলো জ্ঞান অর্জন করা, যা অনেক বেশি ক্লাসে অংশ নিতে পেরে অর্জন করতে পেরেছি।

সূত্র: বিবিসি
কেএএ/