এক টেবিলে তিন মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপিবিরোধী জোটের ইঙ্গিত
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে মঙ্গলবার (২৩ মে) সাক্ষাৎ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। এ তিন মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্নে। বৈঠক শেষে জাতীয় পর্যায়ে ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন তিন নেতা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াইয়েরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।
এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ আমার কাছে একটা চিঠি এসেছে বিদেশিদের খোঁজে, এনআরসি করার জন্য। এসব দিয়ে আমাদের আটকানো করা যাবে না। আমাদের আবেদন, বিজেপিকে একটি ভোটও দেবেন না। আমি জানি, বিজেপির মধ্যে অনেকেই খুশি নন, তাদেরও একই আবেদন করছি।
মমতা আরও বলেন, সারা ভারতে, বিশেষ করে দিল্লির ওপর বর্বরতা চলছে। একমাত্র সুপ্রিম কোর্ট দেশকে বাঁচাতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পরেও দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার অর্ডিন্যান্স এনেছে। তারা দেশের বিচার বিভাগ, এজেন্সি কিনে নিয়েছে। আমরা যদি সব বিরোধী দল এই সময় একত্রিত হ,ই তাহলে অনেক বড় বার্তা যাবে। আমরা ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপাপি হারাতে পারি। আমরা এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করবো। সুপ্রিম কোর্টে আমরা বিচার চাইবো।
এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একই সুরে আক্রমণ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে নির্বাচনে জিতে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। যেই আমাদের সরকার তৈরি হলো, একটি নোটিফিকেশন করে আমাদের হাত থেকে সব ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হলো। এক সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বদলে দিলো। আট বছর পর্যন্ত দিল্লির মানুষ সংঘর্ষ করেছে। বিজেপির সরকার যেখানে নেই, সেখানেই বিধায়ক কিনে সরকার ফেলে দেওয়া হয়। ইডি-সিবিআই দিয়ে বিধায়কদের ভয় দেখানো হয়। আর নাহলে রাজ্যপালকে দিয়ে রাজ্য সরকারকে উত্ত্যক্ত করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ুতে আমরা তা দেখেছি। এরা সুপ্রিম কোর্টকেও মানে না। এতই অহংকার। দেশের এই অহংকারী সরকার উচ্ছেদ করা উচিত।
প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে এসে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তৃণমূল সুপ্রিমো ভূয়সী প্রশংসা করে তাকে ‘বড় দিদি’ বলে সম্বোধন তিনি।
ডিডি/কেএএ