বেলগোরদ অঞ্চলের বাসিন্দাদের এখনই না ফেরার আহ্বান রাশিয়ার
রাশিয়ার বেলগোরদ অঞ্চলের বাসিন্দাদের এখনই নিজেদের বাড়ি-ঘরে না ফেরার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওই অঞ্চলে সংঘাত এখনও চলছে। সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর পরই সেখান থেকে পালাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাশিয়া বলছে, ইউক্রেনের ভেতর থেকে সশস্ত্র একটি দল বেলগোরদ অঞ্চলে ঢুকে সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে।
এতে সেখানকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা আহত হয়েছে। আঞ্চলিক গভর্নর ভিচেস্লাভ গ্লাদকভ বলেন, গ্রাভোরোনস্কি সীমান্ত এলাকায় যারা হামলা চালিয়েছে সেই ‘নাশকতাকারীদের’ খুঁজতে শুরু করেছে রুশ বাহিনী।
রুশ কর্মকর্তারা জানান, একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইউক্রেন থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে সোমবার গ্রেভোরনস্কি জেলায় হামলা চালায়। মস্কো এখন সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত সেখানে কারও নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। বেশ কিছু ভবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ভ্লাদিমির পুতিনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টকে হামলার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি ইউক্রেন। তাদের দাবি, ওই ঘটনার পেছনে রাশিয়ার দুটি আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরাই জড়িত।
গভর্নর ভিচেস্লাভ গ্লাদকভ বলেন, ওই ঘটনায় আটজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। একটি গ্রামে গোলা নিক্ষেপ করার পর দুই বাসিন্দাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে গ্রেভোরন শহরে অপর এক হামলায় আহত হয়েছে তিনজন।
সেখানে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি বাড়ি এবং একটি প্রশাসনিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি ‘খুবই উত্তেজনাকর অবস্থায়’ রয়েছে বলে জানান তিনি। গভর্নর জানিয়েছেন, ওই এলাকায় সন্ত্রাসীদের খুঁজতে একটি পাল্টা অভিযান শুরু করা হয়েছে। যারা এই অভিযানে রয়েছেন, তাদের বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যাতে পরিচয় যাচাই এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় নজরদারি করতে পারে।
একটি ড্রোন থেকে তোলা ভিডিওতে বেলগোরদের দক্ষিণ সীমান্তের একটি চেক পয়েন্টের কাছাকাছি বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া গাড়ি দেখা যাচ্ছে। সেই এলাকায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে, এমন ভিডিও পাওয়া গেছে।
টিটিএন