ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুত পশ্চিমবঙ্গ সরকার
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি গভীর নিম্মচাপটি ঘূর্ণিঝড় মোখায় পরিণত হয়েছে। কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, রোববার (১৪ মে) বাংলাদেশের কক্সবাজারে মোখার আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি বেগ পৌঁছাতে পারে ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটারে।
তবে পশ্চিমবঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড় মোখার সরাসরি প্রভাব পড়বে না। সেখানের উপকূলীয় তিন জেলায় হালকা বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) থেকে রোববার (১৪ মে) পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া যারা সমুদ্রে রয়েছে, তাদের সবাইকে বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে উপকূলে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন কোস্টাল এলাকায়।
পশ্চিমবঙ্গে মোখার তাণ্ডবের বিশেষ কোনো প্রভাব পড়বে না, তা সত্ত্বেও আগাম সতর্কতা অবলম্বন করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই পরিস্থিতিতে যে কোনো দুর্যোগ ঠেকাতে প্রস্তুত সরকার। প্রস্তুতি হিসেবে মহড়া দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিভিল ডিফেন্স এর কর্মীরা।
তাছাড়া রাজ্যের বেহাল বাঁধগুলোতে বিদ্যুৎগতিতে চলছে মেরামতের কাজ। ক্ষয়-ক্ষতির পূর্বাভাস না থাকলেও বেশ আতঙ্কিত উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষেরা। সেক্ষেত্রে আতঙ্কিত না হওয়ার ও সচেতন থাকার বার্তা দিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১১ মে) ও শুক্রবার (১২ মে) এই দুই দিন কলকাতাসহ তার পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ থাকবে।
এমএসএম