ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

চাকরি

পাঁচ বছরে বিলুপ্ত হবে ৮ কোটি ৩০ লাখ পদ: রিপোর্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:২৯ এএম, ০১ মে ২০২৩

অর্থনীতিতে ধীরগতি, কোম্পানিগুলোর প্রযুক্তিনির্ভরতা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বড় তোলপাড় ঘটতে চলেছে বৈশ্বিক চাকরির বাজারে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) অনুসন্ধান বলছে, ২০২৭ সালের মধ্যে চাকরি বাজারে নতুন ৬ কোটি ৯০ লাখ পদ সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সময়ে বিলুপ্ত হবে ৮ কোটি ৩০ লাখ পদের চাকরি। এর ফলে নিট ১ কোটি ৪০ লাখ চাকরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা বর্তমান কর্মসংস্থানের দুই শতাংশের সমান।

গত রোববার (৩০ এপ্রিল) ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। বিশ্বব্যাপী আট শতাধিক কোম্পানির ওপর জরিপ চালিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বৈশ্বিক সংস্থাটি।

আরও পড়ুন>> মাইক্রোসফট-গুগলের পর এআই প্রতিযোগিতায় আলিবাবা

ডব্লিউইএফ বলছে, আগামী পাঁচ বছরে বিভিন্ন কারণ শ্রম বাজারে তোলপাড় ঘটতে চলেছে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পেছনে শক্তিশালী ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবস্থায় স্থানান্তর। তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি চাকরিতে লোকসানের কারণ হবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের তাড়া ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় পথেই প্রভাব ফেলবে।

আরও পড়ুন>> এআই কেড়ে নিতে পারে ৩০ কোটি চাকরি: রিপোর্ট

jagonews24

সংস্থাটির মতে, এআই টুল ব্যবহার ও পরিচালনায় কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন কর্মীর প্রয়োজন হবে। তাছাড়া, ডেটা বিশ্লেষক ও বিজ্ঞানী, মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ ২০২৭ সালের মধ্যে গড়ে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন>> চ্যাটজিপিটির কারণে ঝুঁকিতে যেসব পেশা

একই সময়ে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিস্তার অনেক চাকরিকেই ঝুঁকিতে ফেলবে। কারণ কিছু ক্ষেত্রে মানুষের জায়গা নিয়ে নেবে রোবট।
ডব্লিউইএফের পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৭ সালের মধ্যে রেকর্ড-কিপিং এবং প্রশাসনিক চাকরিতে ২ কোটি ৬০ লাখ পদ কমে যেতে পারে। ডেটা এন্ট্রি ক্লার্ক এবং নির্বাহী কর্মকর্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চ্যাটজিপিটির মতো সাম্প্রতিক সংবেদনশীল টুল থাকা সত্ত্বেও চলতি দশকের প্রথম দিকে অটোমেশন (স্বয়ংক্রিয়তা) বেশ ধীরে এগিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের জরিপে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর ব্যবসা সম্পর্কিত কাজের মাত্র ৩৪ শতাংশ বর্তমানে মেশিনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এটি ২০২০ সালে প্রাপ্ত সংখ্যার তুলনায় মাত্র এক চুল বেশি।

সূত্র: সিএনএন
কেএএ/