ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যের শেষ ফ্লাইট সুদান ছাড়লো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৪৬ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

নিজ দেশের নাগরিকদের বহনকারী যুক্তরাজ্যের শেষ ফ্লাইটটি সুদান ছেড়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুদান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার অভিযান ‘অত্যন্ত সফল’ হয়েছে। স্থানীয় সময় ১০টায় যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের বহনকারী শেষ ফ্লাইটটি রাজধানী খার্তুম ছেড়েছে।

২১টি ফ্লাইটে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৮৮ বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। গত মঙ্গলবার থেকে যুক্তরাজ্য তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে শুরু করে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু মিচেল বলেন, এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আমরা সেখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করতে পারি না। এদিকে শনিবার ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটে। রাজধানী দখলের জন্য সশস্ত্র উপদলগুলো সংঘাত আরও বাড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘সিরিয়া-লিবিয়ার চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে সুদানের সংঘাত’

খার্তুমের বিভিন্ন অংশ বোমা এবং ভারী অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে। সুদানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে তারা সবদিক থেকে রাজধানীতে আক্রমণ চালিয়েছে। দুপ্তাহ আগে সুদানে সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ দেশটি থেকে পালিয়েছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সংঘাতে ৪৫৯ জন প্রাণ হারিয়েছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, নিহতের সংখ্যা এর চেয়েও বেশি হতে পারে। জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই সংঘাতের কারণে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়বে।

এদিকে সিরিয়া এবং লিবিয়ার চেয়েও সুদানের সংঘাত ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হেমডক। দেশটিতে চলমান সংঘাতের কারণে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

আবদাল্লা হেমডক বলেন, এভাবে সংঘাত চলতে থাকলে তা বিশ্বের জন্য এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। সুদানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা চারদিক থেকে রাজধানী খার্তুম আক্রমণ করেছে। সেখানে ভারী অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।

দুই সপ্তাহ ধরে চলা এই সংঘাতে শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
গত ১৫ এপ্রিল সুদানের আর্মড ফোর্সেস (এসএএফ) এবং র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামের আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়।

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির মাঝেও সুদানে দুই পক্ষের লড়াই অব্যাহত

সুদানের বর্তমান সামরিক সরকার চলে মূলত সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে রয়েছেন আরেকটি আধা-সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি দাগালো।

বেসামরিক শাসনে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই দুটি বাহিনীকে একীভূত করার কথা। কিন্তু আরএসএফ তাদের বিলুপ্ত করার বিপক্ষে এবং এই পরিকল্পনা থামানোর জন্য নিজেদের বাহিনীকে রাস্তায় নামায়। এরপর থেকে এটি সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ লড়াইয়ে রূপ নেয়।

টিটিএন