ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

তিউনিসিয়া উপকূলে ১০ দিনে দুই শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৩৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

তিউনিসিয়ার জলসীমা থেকে ৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। এ নিয়ে গত ১০ দিনে দেশটির উপকূল থেকে ২১০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ন্যাশনাল গার্ডের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। গত কয়েকদিনে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী বেশ কিছু নৌকা দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। খবর আল জাজিরার।

ন্যাশনাল গার্ডের কর্মকর্তা হুসেম এডিন জেবাবলি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মৃতদেহগুলো বেশ কয়েকদিন ধরে পানিতে ভাসছিল। ফলে এগুলোতে পচন ধরে গেছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতে দেড় কোটির সোনা পাচার, ‘মজুরি’ ২৫০০ টাকা

তিনি বলেন, এই অল্প সময়ের মধ্যে এত অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর ঘটনা নজিরবিহীন। গত কয়েক মাসে তিউনিসিয়া হয়ে ইতালির উদ্দেশে বিপজ্জনক পথে পাড়ি দেওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। এর মধ্যে সাব-সাহারান আফ্রিকা, সিরিয়া ও সুদানের অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।

এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে তিউনিসিয়া থেকে ইতালি পৌঁছানোর চেষ্টা করে। তবে প্রতিবেশী লিবিয়া কর্তৃপক্ষ মানব পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করায় সমুদ্রপথে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল আরও বেড়ে গেছে।

তিউনিসিয়াও এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছে। এভাবে প্রায় প্রতিদিনই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর কারণে দেশটির মর্গেও মরদেহ রাখার জায়গা হচ্ছে না।

শুক্রবার কর্মকর্তারা বলেন, তিউনিসিয়া থেকে ইউরোপে বিপজ্জনকভাবে ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার সময় বহু অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছে। এত স্ফ্যাক্সের মূল শহরের মর্গ এবং হাসপাতালগুলোও এখন ব্যাপক চাপে আছে। সেখানেও আর জায়গা অবশিষ্ট নেই।

আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকে ফল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৯ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ফাউজি মাসমৌদি নামে বিচার বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত আমরা দুই শতাধিক মরদেহ পেয়েছি। এই সংখ্যা হাসপাতালের ধারণক্ষমতার বাইরে। এতে করে স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোতে চাপ কমাতে প্রায় প্রতিদিনই শেষকৃত্যের আয়োজন করতে হচ্ছে। এর আগে গত ২০ এপ্রিল কমপক্ষে ৩০টি মরদেহ দাফন করা হয়। এর কয়েকদিন পরেই উপকূল থেকে আরও বেশ কিছু মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

টিটিএন