চীনকে মোকাবিলায় আরও ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে অস্ট্রেলিয়া
চীনের হুমকি মোকাবিলায় ক্ষেপণাস্ত্রের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এ জন্য দেশটি দূর পাল্লার আরও ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে। একটি সামরিক পর্যালোচনায় এমন তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার সরকার অস্ত্র কিনতে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করবে। ১১০ পৃষ্ঠার এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিরক্ষাখাতে সবচেয়ে বড় সংস্কার করছে দেশটি।
আরও পড়ুন>বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে
চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে যখন উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে ঠিক তখনই প্রতিরক্ষাবিষয়ক পর্যালোচনা প্রতিবেদনটি সামনে এসেছে।
এদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের উপস্থিতি জোরালো করেছে চীন। তাছাড়া সেখানের বিশাল অংশকে নিজেদের দাবি করছে দেশটি, যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সামরিক কার্যক্রম চালাচ্ছে চীন, যা যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি। কোনো ধরনের স্বচ্ছতা ছাড়াই দেশটি অস্ত্র সমৃদ্ধ করছে।
এদিকে ২০২২ সালে বিশ্বে সামরিক ব্যয় হয়েছে ২ দশমিক ২৪ ট্রিলিয়ন ডলার, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) জানিয়েছে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণেই বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ সামরিক ব্যয় হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, বেশিরভাগ ব্যয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বাড়লেও, অন্যান্য দেশগুলোও রুশ হুমকির প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) এসআইপিআরআই থেকে প্রকাশিত বৈশ্বিক সামরিক ব্যয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা অষ্টম বছরে বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয় বেড়েছে। যার মধ্যে শুধু ইউরোপেই বেড়েছে ১৩ শতাংশ, যা ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এমএসএম