ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সুদানে নিরানন্দ ঈদ
মুসলিমদের ঈদ উৎসবের সময় সুদানের রাজধানী খার্তুমে অন্যবার যে আনন্দমুখর পরিবেশ দেখা যায়, এবার তা নেই। শহরের কিছু অংশ রীতিমতো ভুতুড়ে চেহারা নিয়েছে। উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে লড়াই শুরু হওয়ার পর গত এক সপ্তাহে অন্তত ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, খার্তুমে গুলি, বোমা এবং গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। অর্থাৎ জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিভিন্ন দেশ যে তিনদিন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল, তা ভেস্তে গেছে।
খার্তুম এবং এর লাগোয়া শহর ওমডুরমানের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা এখনো এই সংঘাতের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি।
আরও পড়ন>> ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন বাইডেন-মোদীসহ বিশ্বনেতারা
একটি মসজিদের প্রবেশপথে কাঁদছিলেন দুই নারী। দুটি শিশুসহ পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন তারা।
মুসলিমরা রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের উৎসব উদযাপন করে। সুদানের মানুষজন এই উৎসবের সময় সাধারণত পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের দেখতে যায় এবং একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে। ঈদের নামাজে জড়ো হয় বহু মানুষ।
কিন্তু গত শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ঈদ সত্ত্বেও খার্তুম এবং ওমডুরমানের অনেক মসজিদই ছিল ফাঁকা। লড়াই থেকে বাঁচতে ঘরে লুকিয়ে রয়েছে লোকজন। অনেকেই প্রাণভয়ে শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।
আরও পড়ন>> খার্তুম ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ
সুদানে কীভাবে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনা হবে, মূলত তা নিয়ে দুই ক্ষমতাধর সামরিক অধিনায়কের দ্বন্দ্ব থেকে এই লড়াই চলছে।
দেশটির বর্তমান সামরিক সরকার চলে মূলত সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে রয়েছেন আরেকটি আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি দাগালো। বেসামরিক শাসনে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ দুটি বাহিনীকে একীভূত করার কথা।
আরও পড়ন>> সুদানে মার্কিন কূটনৈতিক বহরে হামলা
কিন্তু আরএসএফ তাদের বিলুপ্ত করার বিপক্ষে এবং এই পরিকল্পনা থামানোর জন্য নিজেদের বাহিনীকে রাস্তায় নামায়। এরপর তা সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
কেএএ/